প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:২৪ এএম
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৫ এএম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চসংখ্যক শিরোপাও তাদের দখলে। অন্যদিকে বুধবার রাতে রিয়ালের প্রতিপক্ষ লিলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেই কোনো সাফল্য। কিন্তু সেই অখ্যাত লিলই হারিয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় রিয়াল মাদ্রিদকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ফরাসি লিগের ক্লাব লিল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিলের কানাডিয়ান স্ট্রাইকার জোনাথন ডাভিড। এ জয়ের মাধ্যমে ইউরোপ-সেরা নতুন মঞ্চে প্রথম জয় তুলে নিল ফরাসি ক্লাবটি।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ফ্রান্সের মাটিতে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল রিয়াল। এর আগে ২০১৯ ও ২০২২ সালে পিএসজির বিপক্ষে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। বুধবার রাতের লিলের বিপক্ষে হারের ফলে আরও একটি দুর্দান্ত যাত্রা থামল লস ব্ল্যাঙ্কোসদের। ইউরোপ-সেরার প্রতিযোগিতায় টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারল রিয়াল। এ ১৪ ম্যাচের ১০টিতে জয়, বাকি চারটিতে ড্র করেছিল তারা। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচে অজেয় থাকার পর হারের তোতো স্বাদ পেল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
এদিন শেষের কয়েক মিনিট বাদে রিয়ালের পারফরম্যান্স ছিল বেশ সাদামাটা। বিশেষ করে কিলিয়ান এমবাপেহীন দলটির আক্রমণভাগ ছিল না চেনা ছন্দে। তারকায় ঠাসা দলটির কেউই তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্রথমার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ ম্যাচ পর প্রথম কোনো লড়াইয়ে গোল করতে পারল না তারা।
অথচ এদিন ৫৮ শতাংশ বল পজিশন ছিল রিয়ালের দখলে। ১২ শটের ৬টি তারা রাখে অন টার্গেটে। প্রতিপক্ষ মোট সাতটি প্রচেষ্টার মধ্যে তিনটি শট গোলে রাখে। তা থেকে অবশ্য তারাও সাফল্য পায়নি। মূলত কামাভিঙ্গা হ্যান্ডবলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় লিল। আর সফল স্পটকিকে জয়সূচক গোল করেন ডাভিড।
প্রথম ২০ মিনিটে ভালো দুটি সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন লিলের গোলরক্ষক লুকাস, আর একক নৈপুণ্যে বল পায়ে বক্সে ঢুকে তার বরাবর শট নেন এন্দ্রিক। ২৫ মিনিটে গোল খেতে বসেছিল সফরকারীরা। বেঁচে যায় আন্দ্রি লুনিনের পরপর সেভের সুবাদে। জোনাথন ডাভিডের প্রথম শট ঝাঁপিয়ে ফেরানোর পর আলগা বলে তার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা কোনোমতে আটকান ইউক্রেনের গোলরক্ষক। তবে বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে জাল অক্ষত রাখতে পারেনি রিয়াল।
রিয়ালের আক্রমণে ধার বাড়াতে ৬১ মিনিটে ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওয়ের জায়গায় চোট কাটিয়ে ফেরা এমবাপে এবং এন্দ্রিককে তুলে লুকা মদ্রিচকে নামান রিয়াল কোচ আনচেলত্তি। কিন্তু কেউই পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। মরিয়া হয়ে শেষ দিকে প্রবল চাপ দেয় অতিথিরা। ৮৫ মিনিটে গোল করার সবচেয়ে কাছাকাছিও যায় তারা; তবে জুড বেলিংহ্যামের প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফেরান এক ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে আন্টোনিও রুডিগারের হেড গোলরক্ষক ফেরানোর পর আলগা বল কাছ থেকে উড়িয়ে মারেন ভিনিসিয়ুস।