প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৯ পিএম
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা
বাংলাদেশ সিরিজকে ঘিরে হুমকি দিয়ে রেখেছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। কানপুরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট ও গোয়ালিয়রে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন রুখতে চায় ভারতের একটি ধর্মীয় সংগঠন। এজন্য গ্রিন পার্কে যাওয়ার রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। ব্যাপারটা এখানেই শেষ নয়, গোয়ালিয়রে ম্যাচের দিন বন্ধের ডাকও দিয়েছে।
সম্ভাব্য সব ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে ভারত সরকার বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কানপুরের পুলিশ কমিশনার হরিশ চন্দ্র বাংলাদেশ দলকে তিন স্তরের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গ্রিন পার্কে সাংবাদিকদের হরিশ চন্দ্র বলেন, ‘হোটেল থেকে মাঠ পর্যন্ত দুই দলকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব অ্যান্টি–টেররিজম স্কোয়াডকে (এটিএস) দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক। এই ম্যাচের জন্য কঠিন নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমরা গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকেও তথ্য নিচ্ছি। কেউ প্রতিবাদের চেষ্টা করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফ থেকে এই টেস্টের জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ নিয়োজিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। পিটিআইকে এ নিয়ে হরিশ চন্দ্র বলেন, ‘কোনো ফাঁক না রাখতে আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যালোচনা করছি। আশা করি, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স পাওয়া যাবে।’
হিন্দু মহাসভার সব ধরনের হামলার শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ বিভাগ। এ নিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘দুটি লাঠি পড়লেই দেখবেন সব ঠিক।’
উত্তর প্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি রাজেশ শ্রীবাস্তব পুরো মাঠ পরিদর্শন করে টেস্ট ম্যাচের জন্য নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থার ব্যাখ্যা দিলেন, ‘তিন ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। একটি হচ্ছে আইসোলেশন কর্ডন- যেটি মাঠ, পিচ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাকি দুটির মাধ্যমে প্যাভিলিয়ন ও স্টেডিয়ামের রাস্তাসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কর্ডনই তিন-চারটি ভাগে বিভক্ত। কাজ করছে ১ হাজার পুলিশ, ক্যামেরা রয়েছে ১০০–এর মতো।’
অখিল হিন্দু মহাসভার হুমকি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন নন রাজেশ শ্রীবাস্তব, ‘হুমকি নিয়ে অনেক ধরনের তথ্য আছে। এগুলো কিছু বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের নিজস্ব মানে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো ফাঁকি দিয়ে কিছু করা অসম্ভব। তাই বলতে পারি কোনো উদ্বেগ নেই।’
বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নিরাপত্তা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিসিসিআইয়ের ওপরই আস্থা রাখছি। আমরা চিন্তিত নই।’