প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৭ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১০ পিএম
ফিফটির পর ব্যাট উচিয়ে উদযাপন করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছবি : আ. ই. আলীম
দুইশর আগে ভারতের ছয় ব্যাটারকে আউট করে দারুণ কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বোলাররা। এরপর স্বাগতিকদের অল্পতে গুটিয়ে দেওয়ার আশা করছিলেন টাইগাররা। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন লোয়ার মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবিন্দ্র জাদেজা। দুই স্পিনিং অলরাউন্ডারের ব্যাটে চড়ে এখন এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। এই রিপোর্ট লেখার সময় তাদের জুটি ১২৬ রানের। ভারতের রান ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭০।
অথচ ১৪৬ রানেই ৬ উইকেট খুইয়েছিল ভারত। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন জাদেজা-অশ্বিন। ৭৯ বল খেলে অশ্বিনের রান ৭৩। ৯ বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কার মার আছে তার ইনিংসে। ৭২ বলে ৪৯ রান করে এগিয়ে চলা জাদেজাও হাঁকিয়েছেন একটি ছক্কা। বাঁহাতি অলরাউন্ডার বল গড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেছেন ৫বার।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে তিন উইকেট নিয়ে ভারতকে চাপে রেখেছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। তবে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে ভারতকে ট্রাকে রেখেছিলেন ওপেনার জসশ্বি জয়সওয়াল ও ঋষভ পন্ত। শেষ পর্যন্ত এই দুজনকেও ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। এরপর দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় ভারত হারিয়েছে পরপর দুই উইকেট। স্বাগতিকদের ৬ উইকেট তুলে সুবিধাজনক অবস্থানে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এর আগে ৮৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ভারত। বিরতির পর ঋষভের প্রতিরোধ ভাঙেন হাসান। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আউট হন তিনি। ওই সময় পর্যন্ত হারানো ভারতের ৪ উইকেটই যায় হাসানের পকেটে।
ওপেনিংয়ে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জয়সওয়াল। ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই তরুণকেও বেশিদূর আগাতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম স্লিপে সাদমানের ক্যাচ বানিয়ে তাকে আউট করেন নাহিদ। নাহিদের ঘন্টায় ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে করা বলে আউট হন ভারতীয় এই ব্যাটার। ১৪৪ রানের ভারত হারায় পঞ্চম উইকেট। আউট হওয়ার আগে করেন সর্বোচ্চ ৫৬ রান।
ঠিক একই স্কোরে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার তুলে নেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার লোকেশ রাহুলকে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের সংগ্রহ ছিল স্রেফ ১৬ রান।
ভারতের ইনিংসের পরের গল্পটা কেবলই জাদেজা আর অশ্বিনকে ঘিরে। বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে হাসান চারটি এবং নাহিদ ও মিরাজ নিয়েছেন সমান একটি করে উইকেট।