প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫২ পিএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৭ পিএম
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের প্রথম
টেস্ট শুরু হচ্ছে আগামী পরশু বৃহস্পতিবার। কাঙ্ক্ষিত এই সফর ঘিরে আশার ভেলা ভাসিয়েছে
সফরকারী দল। সাদা শুভ্র পোশাকে সদ্যই পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। নাজমুল
হোসেনদের লক্ষ্য এখন ভারত। তবে পরিসংখ্যান বলছে, স্বাগতিকদের বিপক্ষে এ যাত্রা মোটেও
সুখকর হবে না টাইগারদের। সিরিজের আগে সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন রোহিত শর্মা। এ সময় দলের
পরিবেশ, একাদশ নিয়ে সাম্যক ধারণা ও নতুন কোচ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে
ভারতের রেকর্ড দুর্দান্ত। ১৩ ম্যাচে ১১ জয়, দুই ড্র। এর মধ্যে পাঁচটিতে জয় ইনিংস ব্যবধানে।
অতীত যাই হোক, বেশিরভাগ ক্রিকেট বিশ্লেষক মনে করছেন, ভারতে দারুণ কিছু উপহার দিবে লাল-সবুজের
প্রতিনিধিরা। নাজমুলদের হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার
সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলেও মনে করেন, ভারতকে
হারানোর সামর্থ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে এক
সংবাদ সম্মেলনে রোহিতকে বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, ‘সব দলই
চায় ভারতকে হারিয়ে আনন্দ পেতে। তাদের মজা নিতে দিন। অনেক ধরনের দলের বিপক্ষে খেলেছি।
আমরা শুধু নিজেদের খেলা নিয়েই ভাবব। ইংল্যান্ড এখানে (ভারত) খেলতে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে
অনেক কথা বলেছিল। সেই সময়ও আমরা আমাদের কাজটা করেছি। কোন দলের বিপক্ষে খেলছি ভাবি না।
আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও
বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না রোহিত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল পৌঁছানোর
জন্য সব ম্যাচেই জিততে হবে ভারতকে। ৩৭ বর্ষী হিটম্যান মনে করেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের কাছে
কোনো অনুশীলন সিরিজ নয়। সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানেই খেলি না কেন, আমরা জিততে চাই।
এই সিরিজের পর আমাদের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট এবং তারপর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে
পাঁচ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ; কারণ, বিশ্ব
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল পৌঁছানোর জন্য আমাদের সব ম্যাচেই জিততে হবে।’
ভারত যে জিততে মরিয়া সেটা তাদের
আরও একটি কাজে স্পষ্ট। সিরিজ শুরুর অনেক আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করেন দলটির ক্রিকেটাররা।
সেই অনুশীলনে আবার বেশ কিছু প্রথম সারির ক্রিকেটারকেও খেলানো হয়েছে। রোহিত জানান, অনেক
দিন কোনো ম্যাচ ছিল না, সেই কারণেই বাংলাদেশ সিরিজের আগে দুলীপে খেলানো হয়েছে। রোহিত
বলেন, ‘আমাদের অনেক দিনের বিশ্রাম ছিল। তাই এই ক্যাম্প করাটা জরুরি ছিল। মাঠে একসঙ্গে
সময় কাটিয়ে আমরা আবার তৈরি। দুলীপ ট্রফিতেও অনেকে খেলেছে ম্যাচে ফেরার জন্য। দল বেছে
নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুজনকে নিয়ে ভাবার কিছু থাকে না। তারা খেলবেই। বাকিদের বেছে নেওয়ার
ক্ষেত্রে আমরা দেখি কে ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেভাবেই আমরা প্রথম একাদশ বেছে নিই।’
চেন্নাইয়ের উইকেট এবং দলের
ভারসাম্য বিবেচনায় ভারতীয় দল এখন পেসারদের সব ম্যাচে খেলানোর পক্ষে নয়। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে
খেলিয়ে যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজদের বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
রোহিত বলেন, ‘আমরা সব সময় চাই আমাদের সেরা ক্রিকেটারদের খেলাতে। দলের জন্য যেটা ভালো,
সেই অনুযায়ী ক্রিকেটার বেছে নিই আমরা। তবে কোন ক্রিকেটার কতটা পরিশ্রম নিতে পারবে সেটাও
দেখতে হয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বুমরা, সিরাজকে সব ম্যাচ খেলানো হয়নি। আমরা চাই সকলে
খেলুক। আমাদের দলে অনেক পেসার আছে। দুলীপেও আমরা প্রতিভাবান পেসারদের পেয়েছি। তাই আমি
পেসারদের নিয়ে খুব চিন্তিত নই।’
গত শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ভারতীয়
দলের কোচের দায়িত্বে গৌতম গম্ভীর। তার সঙ্গে অভিষেক নায়ার এবং রায়ান আছেন ভারতের সহকারী
কোচ হিসেবে। বোলিং কোচ হিসেবে মর্নে মর্কেল যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ সিরিজের ঠিক আগে।
রোহিতের আশা, দারুণ এক কোচিং প্যানেলের সঙ্গে তাদের যাত্রাটাও দারুণ হবে। পারস্পরিক
বোঝাপড়ার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চান তারা।