প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪০ পিএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৯ পিএম
ফেরার মঞ্চ খুঁজছেন ইবাদত হোসেন— সংগৃহীত ছবি
সবশেষ জুনে মাঠে ফেরার কথা ছিল ইবাদত হোসেনের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সেই সম্ভাবনা ঝুলে গেল এ মাসের ভারত সফর পর্যন্ত। দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজেও তার ফেরা অনিশ্চিত। তবুও দলের সঙ্গে সফরে থাকছেন ডানহাতি পেসার। দলের সঙ্গে ইবাদতকে রাখার বিষয়ে ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আসন্ন সফরে ম্যাচ খেলতে পারবেন কিনা, তা জানেন না ইবাদত। তাই ফেরার মঞ্চ হিসেবে এনসিএলকে করেছেন পাখির চোখ।
মিরপুরে আজ শুক্রবার ইবাদত শুনিয়েছেন চোট কাটিয়ে ফেরার গল্প, নিজের ফিটনেস এবং ক্রিকেটে ফেরার পরিকল্পনা। গত বছরের জুলাইয়ে হাঁটুর চোটে পড়েন টাইগার পেসার। সেই থেকে মাঠের বাইরে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যাচ্ছেন। লন্ডনে চিকিৎসাও নিয়েছেন। চোট তাকে প্রথমে ছিটকে দিয়েছে এশিয়া কাপ থেকে, এরপর বিশ্বকাপেও ব্রাত্য হয়েছেন। হাঁটুর ইনজুরিতে গত বিপিএল থেকেও ছিটকে যান। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে এখনও ফিরতে পারেননি। সেই ফেরার ইচ্ছা আপাতত পূরণ না হলেও দলের সঙ্গে ভারতে যেতে পারেন ইবাদত।
ফেরার জন্য মরিয়া থাকা ইবাদত আশাবাদী তিনিও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ভারত যাচ্ছেন, ‘আমাকে ফিজিও এবং ট্রেনার, পেস বোলিং কোচ উনারা যে প্রোগ্রাম দিয়েছে ওই প্রোগ্রামই ফলো করতেছি। রেস্ট্রিক্টের ব্যাপারটা হলো শতভাগ এফোর্ট দিয়ে বোলিং করার অনুমতি তারা দেয়নি। এখন আমি ৭০-৮০ বা কাছাকাছি এফোর্টে বোলিং করছি। পরিকল্পনা যেটা আছে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে হয়ত আমাকে ভারতে নেবে।’
ভারত সফরে থাকলেও ইবাদতের দলে থাকার সম্ভাবনা কম। পূর্ণ ফিট হতে ইবাদতকে সময় দিতে চায় বিসিবি। ম্যাচ খেলতে না পারলেও আফসোস নেই ইবাদতের। তবে ফিরতে মরিয়া টাইগার পেসার ১৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এনসিএলে রেখেছেন পাখির চোখ।
টাইগার পেসার বলেছেন, ‘আমি খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। যে জিনিসটা হচ্ছে আমার ফিটনেসটা পেতে হবে। ফিটনেসের জন্য আমার সাথে আমাদের স্থানীয় ট্রেনার, ফিজিও কাজ করতেছে। জাতীয় দলের ফিজিও, ম্যানেজমেন্ট যারা আছে উনারা তো আমাকে প্রোগ্রাম দিয়েছে। স্থানীয় ফিজিও, ট্রেনারের কাজ করতেছি আলহামদুলিল্লাহ। যদিও ভারতে যাওয়ার পরে দেখি ফিটনেস ওইভাবে পাই, ম্যানেজমেন্ট যদি যথেষ্ট খুশি থাকে আমাকে নিয়ে। যদি ওইখানে খেলায় তো খেললাম আর যদি না খেলতে পারি তাহলে বাংলাদেশে তো আমাদের ঘরোয়া ম্যাচগুলো আছে ওইগুলো খেলবো ইনশাআল্লাহ।’
১৩ মাস ধরে মাঠের বাইরে থাকা ইবাদত এখনও পুনবার্সন প্রক্রিয়ার মাঝে। পুরোদমে বোলিং না করলেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব দ্রুতই ইবাদতকে মাঠের ক্রিকেটে দেখা যেতে পারে।