ইউএস ওপেন
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৪ পিএম
ম্যাচ শেষে জেসিকা পেগুলার
বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস দেখে কে! পেগুলা-পেগুলা চিৎকার, উপস্থিত দশর্কদের করতালি, তার চেয়েও
আমেরিকাকে গ্রেট করার কীর্তি একটু আগেই ভালোভাবে করেছেন তিনি। এর চেয়েও স্পষ্ট করে
বললে, টেনিসে নারীদের নম্বর ওয়ান ইগা শিয়াটেককে কোর্টে ভূপাতিত করেছেন পেগুলা।
গত বুধবার নিউইয়র্কে ইউএস ওপেনে
কোয়ার্টার ফাইনালে ২-৬, ৪-৬ গেমে শিয়াটেককে হারিয়েছেন জেসিকা। ছেলেদের কোর্টেও হয়েছে
একচেটিয়া লড়াই। দানিল মেদভেদেভের বিপক্ষে এক সেট খুইয়েও সেমিফাইনালে পৌঁছেছেন নম্বর
ওয়ান ইয়ানিক সিনার। ৬-২, ১-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে জিতেছেন ইতালিয়ান তারকা।
বাঁচা-মরার ম্যাচে শুরু থেকেই
ছন্নছাড়া ও উদভ্রান্তের মতো দেখাচ্ছিল শিয়াটেককে। টেনিসের রানী এদিন সব বিভাগেই পিছিয়ে
ছিলেন। শক্তিশালী সার্ভিস, ব্যাকহ্যান্ড, ফোরহ্যান্ডে ঘাটতি তো ছিলই, দ্রুত কোর্ট কাভারিংয়েও
সুবিধা নিতে পারেননি পাঁচবারের গ্র্যান্ডস্লামজয়ী (সিঙ্গেলস) শিয়াটেক। ৪১টি আনফোর্সড
এরর করেছেন। অথচ প্রথম রাউন্ড থেকে তাকে একবারও ব্রেক করতে পারেননি কেউ। পেগুলা সেই
কাজ করে দেখান কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চে। প্রথম গেম এবং তৃতীয় গেমে ব্রেক করেন শিয়াটেককে।
দ্বিতীয় সেটের শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন পেগুলা। তৃতীয় গেমে আবার শিয়াটেককে
ব্রেক করেন। সামান্য কিছু সময়ের জন্য ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিয়াটেক। তবে পেগুলা
ছিলেন অদম্য।
পেগুলা সবশেষ টানা ছয়টি মেজর
টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছেন। অথচ গত রাতে দেখিয়েছেন চমক। তার এমন
অর্জন যেন নিজেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে পেগুলার। বলেছেন, ‘অবশেষে আমি সেমিফাইনালে।
আপনাদের সমর্থন আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে। অতীতে অনেকবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছি। কিন্তু
নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। সবচেয়ে বড় কথা, আমি এই সময়ের নম্বর ওয়ান তারকাকে হারিয়েছি।
তাই উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি। তবে এটা ঠিক, আমি প্রমাণ করেছি, চাইলে আমিও পারি।’
পেগুলার কাছে হারের কারণ হিসেবে
নিজের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন শিয়াটেক। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রথম সেটে ০-৪-এ পিছিয়ে
থাকার সময় ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলাম। বুঝতেই পারিনি কেন সার্ভিস করতে পারছি
না। খুব কঠিন এটা মেনে নেওয়া। দ্রুত এর সমাধান খুঁজতে হবে।’
একই দিনে সিনার নেমেছিলেন পঞ্চম
বাছাই দানিল মেদভেদেভের বিপক্ষে। তিনি জেতেন ৬-২, ১-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে। এ বছরের শুরুতে
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালেও মেদভেদেভকে হারিয়েছিলেন সিনা।