বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষা বাড়াল বৃষ্টি

ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৮৫ রানের সহজ লক্ষ্যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলছেন টাইগার ওপেনার জাকির হাসান। কিন্তু চা বিরতির পর মাত্র ১ ওভার খেলা হতেই রাওয়ালপিন্ডিতে হানা দিয়েছে বৃষ্টি। বেরসিক বৃষ্টিতে শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দিনের খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। 

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৪২ রান। ৩১ রান নিয়ে উইকেটে আছেন জাকির হাসান। অপর অপরাজিত ব্যাটার সাদমান ইসলামের সংগ্রহ ৯ রান। জিততে হলে পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের আরও করতে হবে ১৪৩ রান, হাতে ১০ উইকেট। এর আগে পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুঁটিয়ে যায় ১৭২ রানে। 

৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল পাকিস্তান। এর আগে টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলা শুরুর ৪৫ মিনিট পর প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাইম আইয়ুবকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ। এরপর থেকেই পেসতান্ডবে পাকিস্তানি ব্যাটারদের পিন্ডি চটকানো।

বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই সাফল্য পান নাহিদ রানা। পরে তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বাবর আজমকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন। নাহিদ রানার ব্যাক অব লেন্থের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন ২ রান করা সৌদ শাকিল। 

মাত্র তিন ওভারেই প্রতিপক্ষের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে বল হাতে রুদ্ররূপ ধারণ করেন রানা। তবে রানের খাতা খোলার আগে জীবন পাওয়া রিজওয়ান ও সালমান সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা।

বিরতির পর ফিরেই সাফল্যের দেখা পান হাসান মাহমুদ। তার শিকার হয়ে ৪৩ রানে আউট হন রিজওয়ান। একইসঙ্গে ভাঙে ৫৫ রানের জুটি। পরের বলে মোহাম্মদ আলীকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেই স্বাদ পাননি হাসান।

শেষ উইকেট জুটিতে আগা সালমান ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। আমির হামজাকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে হাসান পান ফাইফারের স্বাদ। আগের ইনিংসে ১২ রান নিয়ে শুরু করা পাকিস্তান দেড়শ ছাড়িয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি।