প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৫৭ পিএম
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৭:২৯ পিএম
রিভালদোর অভিনয়ে হতবাক হাকান উলসান। ছবি: সংগৃহীত
কোরিয়া ও জাপান যৌথভাবে সেবার আয়োজন করেছিল ফিফা ২০০২ বিশ্বকাপ। ওই আসরে পঞ্চমবারের মতো কাপ ঘরে তোলে ব্রাজিল।
তবে বিশ্বকাপ জয়ী দল প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল অপ্রত্যাশিত প্রতিরোধের। কিন্তু সেই ধাপ উৎরে যেতে শুধু ল্যাটিন ফুটবল শৈলীতে কাজ হয়নি। সাথে দরকার হয়েছে ব্রাজিলের অধিনায়কের অস্কার মানের অভিনয়!
২০০২ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় তুরস্ক ও ব্রাজিল। প্রথমার্ধেই হাসান সাসের গোলে এগিয়ে যায় তুরস্ক। ম্যাচের শেষ দিকে তুরস্কের একজন লাল কার্ড পেয়েছিল। সেই দলকে দ্বিতীয় লাল কার্ড পাইয়ে ৯ জনের দলে পরিণত করেছিলেন রিভালদো। ফলে আর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তুর্কিরা।
ম্যাচের শেষ দিকে কর্নার পায় ব্রাজিল। কর্নার করতে এগিয়ে যান রিভালদো। তুরস্কের খেলোয়াড় হাকান উলসান সে সময় তাকে দেওয়ার জন্য বলে কিক মারেন। কিকটি একটু জোরে হয়ে যায় এবং বল যেয়ে রিভালদোর পায়ে লাগে।
এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে রিভালদো মুখ চাপ দিয়ে লুটিয়ে পড়েন এবং এমনভাবে অভিনয় করেন যেন হাকান উলসানের কিক দেয়া বল যেন তার মুখে লেগেছে। যা রেফারিকেও বিভ্রান্ত করে এবং রেফারি উলসানকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান। ফলে লাল কার্ডে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ম্যাচটি ২-১ এ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। এর পরে সেমিফাইনালেও মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও তুরস্ক। সে খেলাতেও ১-০ গোলে জয় পায় ব্রাজিল।
ম্যাচ পরবর্তি সাক্ষাৎকারে রিভালদোও ঘটনাটি স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘না, বল আমার মুখে লাগেনি। কিন্তু তুরস্কের খেলোয়াড়ের প্রথমে এটা (এভাবে কিক দিয়ে বল দেয়া) করা ঠিক হয়নি। তাই বলটা আমার পায়ে লেগেছে, মাথায় নয়। কিন্তু অন্য খেলোয়াড়েরও এটি ভুলই। আমি তাকে সরি বলেছি, কিন্তু ফুটবলে এমনটা হয়।’
এ ঘটনায় পরে ফিফাও রিভালদোকে জরিমানা করে।