প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৫:০৯ পিএম
‘ব্যাটল অব সান্তিয়াগো’ বলে খ্যাত ম্যাচে ইংলিশ রেফারি কেন অ্যাস্টন ইতালীয় খেলোয়াড় মারিও ডেভিডকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করছেন।
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সবচাইতে ন্যক্কারজনক ঘটনা বলা হয়ে থাকে এটিকে। ঘটনাটি ঘটেছিল সান্তিয়াগোতে ১৯৬২ বিশ্বকাপে স্বাগতিক চিলি ও ইতালির ম্যাচে।
ম্যাচটি ভরপুর সংঘর্ষের জন্য আলোচিত। তবে এর সূত্রপাত মাঠের ভেতরে নয় বরং বাইরে। দুই ইতালিয়ান সাংবাদিক তাদের সংবাদপত্রে প্রকাশ করেন যে ‘চিলিকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়াটা পাগলামি ছাড়া কিছুই না। এখানে ফোন কাজ করে না, বিশ্বস্ত স্বামীর মতো ট্যাক্সিরও পর্যাপ্ত অভাব। এক শহরের ভেতর একটি চিঠি পৌঁছাতে সময় লাগে ৫ দিন। ’
এমন খবর দেখে গোটা চিলির জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ক্ষোভ এতটাই চরমে পৌঁছে যে, ইতালির সাংবাদিক ভেবে আর্জেন্টিনার এক সাংবাদিককে তারা পিটিয়ে আহত করে।
ঘটনা ইতালিয়ান শিবিরে পৌঁছালে খেলা শুরুর ১২ সেকেন্ডের মধ্যেই ইতালির জর্জিও ফেরেনি ফাউল করেন।
১২ মিনিটে ফেরেনি আবার ফাউল করলে রেফারি অ্যাস্টন তাকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
কিন্তু তিনি রেফারিকে পাত্তা না দিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। পরে পুলিশ ঢুকে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়।
সমস্যার শেষ এখানে হলেই পারাতো। কিন্তু তা হয়নি। বরং ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে আরও কুৎসিৎ আকার ধারণ করেছে খেলাটি।
চলেছে শেষ পর্যন্ত। কী না হয়েছে? লাথি, কিল, ঘুষি, যাচ্ছেতাই রকমের ফাউল, রেফারিকে হুমকি ইত্যাদি।
এই ম্যাচের রেফারি ছিলেন কেন এস্টন। ফাউলের বিভৎসতায় তিনি এদিন হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ডের উদ্ভাবন করেন।
শেষ পর্যন্ত চিলি ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতলেও তাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে ম্যাচ শেষে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।