প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ২০:২৮ পিএম
ইংল্যান্ড নারী দলের অধিনায়ক হিদার নাইট; ফাইল ছবি
অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু
দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কুড়ি কুড়ির আসরটি
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয় আইসিসি। নিগার সুলতানা জ্যোতিরা দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ
খেলতে না পারায় বেশ হতাশই হয়েছেন। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন না হওয়াকে দুঃখজনক বলে
মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ড নারী দলের অধিনায়ক হিদার নাইট।
ভিন্ন দেশে খেলা হলে স্বাভাবিকভাবেই কন্ডিশনে পরিবর্তন থাকে। হিদার
নাইট দেখছেন আরেকটি পরিবর্তনও। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হলে দর্শকসংখ্যা
বেশি হতো। স্কাই স্পোর্টসে সে প্রসঙ্গে নাইট বলেন, ‘ভিন্ন কিছুই হতে
যাচ্ছে। বাংলাদেশে অবশ্যই অনেক বেশি দর্শক থাকত। ২০১৪ সালে সেখানে খেলে দেখেছি। আমাদের
ম্যাচে অনেক দর্শক দেখেছি, বিশেষ করে সিলেটে। আমাদের রীতিই হয়ে গিয়েছিল আশপাশে অনেক
মানুষ থাকা। আমরা এটি নিয়ে কথা বলব। তবে এটা বিশ্বকাপ, এ নিয়ে উজ্জীবিত হতে খুব বেশি
কিছু দরকার নেই।’
৩-২০ অক্টোবর বাংলাদেশের সিলেট ও মিরপুর—এ
দুই ভেন্যুতে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। এখন সেটি হবে আরব আমিরাতের শারজা ও দুবাইয়ে।
এমনিতে আরব আমিরাত মেয়েদের ক্রিকেট সেভাবে আয়োজন করে না। আর ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ
ছাড়া সেভাবে দর্শকদের মাঠেও দেখা যায় না। ৩৩ বছর বয়সি নাইটও মনে করেন না হুট করে বেশি
দর্শক মাঠে আসবে। তবে এ নিয়ে যে তার কিছু করার নেই, সেটিও স্বীকার করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
নাইট বলেন, ‘কেউ কেউ দর্শকদের অনেক আওয়াজে রোমাঞ্চিত হয়। ফলে আমাদের সামনে কী আসতে
যাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে। আমার মনে হয় না হুট করে বেশি দর্শক আসবে। তবে
এ নিয়ে কিছু করার নেই। অবশ্যই নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের আয়োজক ধরে দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে
ইংল্যান্ডের মেয়েরা। এরপরও আইসিসির এমন সিদ্ধান্তের পক্ষেই সায় দিলেন নাইট। অবশ্য বাংলাদেশের
প্রতি সহমর্মিতাও জানিয়েছেন তিনি, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ দলের জন্য ব্যাপারটি দুঃখজনক, নিজেদের
মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না। তবে আমার মনে হয়, এটিই হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত। কন্ডিশন
একটু আলাদা হবে, তবে খুব বেশি হবে না।’