দ্বিতীয় টেস্ট
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১১:২১ এএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ২১:৫১ পিএম
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট
টেস্ট ইতিহাসে নিজেদের অর্জনকে আরও সমৃদ্ধ করার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ নিয়েই সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নামবে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তার সহযোদ্ধারা। জয় তো বটেই, এমনকি ড্র করলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে টাইগারদের সিরিজ জয়ের মিশন শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায়।
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জে টাইগারদের অতীত রেকর্ড বেশ অনুজ্জ্বল। দুই যুগ ধরে টেস্ট খেললেও বিদেশের মাটিতে মাত্র দুটি টেস্ট সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর একটি খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দ্বিতীয়টি অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সহজ করে বললে, ক্রিকেটের কোনো প্রতিষ্ঠিত দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের কোনো নজির নেই বাংলাদেশের। এবার সেই উচ্চতার সামনে শান্ত ব্রিগেড।
সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা ভেন্যু। এই রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। আর এটাই শিষ্যদের মানসিকভাব এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। গতকাল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ সামনে রেখে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা মানসিকভাবে খুবই ভালো অবস্থায় আছে। সেরাটা দিতে মুখিয়ে সবাই।’ তবে পা মাটিতেই রাখছেন টাইগার কোচ, ‘অবশ্যই পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হারানো কঠিন। তারা শক্তিশালী দল। দ্বিতীয় ম্যাচে কঠিন লড়াই আশা করছি।’
প্রথম ম্যাচে হারের পর থেকেই নিজের দেশে ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এটাকে তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বাজে দিন হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটির মিডিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোটা এখন স্বাগতিকদের প্রাণের দায়। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামবে, এমন ঘোষণা স্বাগতিক শিবিরের। পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেসন গিলেস্পি গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা জিততে চাই। প্রথম টেস্টে আমাদের পরিকল্পনা কাজে আসেনি। আগের ম্যাচটা এখন অতীত। ওই হার নিয়ে এখন আর ভাবতে চাই না। সবার মনোযোগ দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে। আশা করি, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ম্যাচে কাজে লাগাতে পারব।’
পাকিস্তান দলে এসেছে বড় পরিবর্তন। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ১২ জনের স্কোয়াডে রাখা হয়নি দলটির তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। প্রথম টেস্টে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছাড়াই মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়ে স্বাগতিক দলের ম্যানেজমেন্ট। এবার দ্বিতীয় টেস্টে দলে আনা হয়েছে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে।
এদিকে পরিবর্তনের আভাস রয়েছে বাংলাদেশ দলেও। প্রথম টেস্টে দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আর তাই এই টেস্টে দেখা যেতে পারে আরেক টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলামকে। তবে সফরকারীরা উইনিং কম্বিনেশন ভাঙবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন। সব মিলিয়ে এগিয়ে থাকার মানসিক স্বস্তি নিয়েই মাঠে নামছে টাইগাররা।