প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪৮ পিএম
ফ্লোরিয়ান রিটজের গোল উদযাপন
পুরোনো মৌসুম বিদায় নিয়েছে। শেষ প্রাক-মৌসুমের বিরতিও। ছুটিছাটা শেষে মাঠে গড়িয়েছে নতুন মৌসুম। ইউরোপিয়ান ফুটবলে বদলে গেছে অনেক কিছু। কিন্তু বদলায়নি কেবল বায়ার লেভারকুসেন। শেষ মুহূর্তে প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প লিখে ম্যাচ জয়কে অভ্যাসে বানিয়ে ফেলেছিল জায়ান্ট ক্লাবটি। গত মৌসুমে লেভারকুসেনের রূপকথার গল্প লিগে বুন্দেসলিগা শিরোপা জয়ের নেপথ্যের মূল কাহিনী তো এটাই। এবার নতুন মৌসুমের শুরুতেও একইভাবেই জিতল লেভারকুসেন। জার্মান সুপার কাপ ফাইনালে শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। পরে জেতে শিরোপাও। এবার বুন্দেসলিগায় নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুতে একইভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কোচ জাবি আলোনসোর বাহিনী।
শুক্রবার রাতে ইনজুরি টাইমের ১১তম মিনিটের খেলা চলছিল বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে। ম্যাচ ছিল ২-২ গোলের সমতায়। ঠিক সেই দরকারি মুহূর্তে পেনাল্টির বাঁশি বাজে লেভারকুসেনের অনুকূলে। পরে পেনাল্টিতেও মঞ্চস্থ হয়েছে নাটক। ফ্লোরিয়ান রিটজের শট রুখে দিয়েছিলেন মনশেনগ্লাডবাখের গোলরক্ষক জোনাস অমলিন। পরে পড়িমড়ি করে দৌড়ে গিয়ে কোনোমতে ফিরতি শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান রিটজ। একপ্রস্থ নাটকীয়তায় শেষ মুহূর্তে লেভারকুসেন নেয় ৩-২ গোলের দাপুটে এক জয়।
অবশ্য ম্যাচে দারুণ শুরু করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেন। মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে নেওয়া চোখ ধাঁধানো এক শটে বল জালে জড়িয়ে ক্লাবকে লিড এনে দেন গ্রানিত জাকা। পরে আক্রমণের ছন্দ ধরে রেখে ৩৮ মিনিটে গোল ব্যবধান ২-০-তে নিয়ে যান রিটজ। তবে লড়াইয়ের চিত্রনাট্য পাল্টে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের বয়স ৫৯ মিনিট হতেই নিকো এলভেদির দারুণ গোলে ব্যবধান কমায় মনশেনগ্লাডবাখ। ৯০ মিনিট পূর্ণ হওয়ার ৫ মিনিট আগে ম্যাচে সমতাসূচক গোল করেন টিম ক্লেইনদেনস্ত।
কিন্তু তারপরও হার এড়াতে পারেনি মনশেনগ্লাডবাখ। খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে ঠিকই জয় নিজেদের করে নিয়েছে লেভারকুসেন। জিততে ঘাম ঝরাতে হলেও লেভারকুসেন মাঠজুড়ে বিস্তার করে গেছে প্রতাপ। ৫৮ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল তারা। ২৫টি শটের মধ্যে ১০টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে লেভারকুসেন। বিপরীতে মনশেনগ্লাডবাখ ১৪ শট নিয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল মাত্র ৭টি শট।
ম্যাচ জেতাতে পেরে দারুণ খুশি জোড়া গোল করে লেভারকুসেনের জয়ের নায়ক বনে যাওয়া রিটজ, ‘আমরা কিছুটা ভাগ্যবান ছিলাম। তবে আনন্দিত যে আমরা জিতেছি। আমরা নিজেদের জন্য কাজটা কঠিন করে ফেলেছিলাম। অনেক বিষয় আছে, যা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। তবে তিন পাওয়ায় আমি খুশি হতে পারি।’
গত মৌসুমে ফুটবলপ্রেমীদের বিস্মিত করে অজেয় থেকে জার্মান লিগ শিরোপা জিতে নিয়েছিল লেভারকুসেন। মৌসুমজুড়ে অবিশ্বাস্য ফুটবলে ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। একই লড়াকু মানসিকতা ধরে রেখেই নতুন মৌসুমের সূচনাপর্ব রাঙাল দলটি। বুন্দেসলিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে জাকার ভাষ্য, ‘আমরা প্রথমার্ধে দাপটের সঙ্গে শুরু করি। আমরা বিরতির সময় বলেছিলাম, ওদের আমরা ম্যাচে ফিরতে দিতে চাই না। তবে তারা ফিরে আসে, কিন্তু এরপর আমরা দারুণ মানসিক শক্তি প্রদর্শন করেছি। প্রতিপক্ষের মাঠে কঠিন এক ম্যাচ থেকে আমরা তিন পয়েন্ট নিয়ে লেভারকুসেনে ফিরব।’