প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪ ১৯:২৪ পিএম
ইলকাই গুন্দোয়ানের সাম্প্রতিক সময়টা
যেন নাটকীয়তায় মোড়ানো। জার্মান তারকা সদ্যই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন। এবার
ক্লাব ফুটবলে গুন্দোগান ফিরলেন নিজের পুরোনো ঠিকানা ম্যানচেষ্টার সিটিতে। ২০২৩ সালে
ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দুই বছরের চুক্তিতে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মৌসুম
পরেই বার্সা ছেড়ে সিটিজেন শিবিরে ফিরলেন ৩৩ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার।
প্রথম দফায় গুন্দোয়ান ম্যানসিটিতে সাত
মৌসুম কাটিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা সিটিতে যোগ দিয়েই তাকে প্রথম
সাইনিং করান। এরপর ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইতিহাদের ক্লাবটির হয়ে ৩০৪ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন।
জার্মান এই মিডফিল্ডার ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন ১৪টি ট্রফি। নতুন চুক্তিতে এক বছরের জন্য
ম্যানসিটিতে যোগ দিয়েছেন গুন্দোয়ান। একইসঙ্গে ১২ মাসের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় সিটিতে ফিরে উচ্ছ্বসিত
গুন্দোয়ান, ‘ম্যানচেস্টার সিটিতে আমার সাতটি বছর কেটেছিল দারুণ আনন্দে, সেটি মাঠ ও
মাঠের বাইরে। পেপ গার্দিওলাকে আমি কতটা সম্মান করি-তিনি বিশ্বের সেরা ম্যানেজার এবং
তার সঙ্গে প্রতিদিন কাজ করতে পারাটা একজনকে আরও ভালো খেলোয়াড় করে তোলে। সত্যি কথা বলতে,
আবারও সিটির জার্সি পরতে আমার তর সইছে না।’
গত মৌসুমে বার্সার সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত
খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন গুন্দোয়ান। কাতালান ক্লাবটি শিরোপাহীন মৌসুম কাটালেও তিনি ব্যক্তিগত
পারফরম্যান্সে ছিলেন উজ্জ্বল। কিন্তু হ্যান্সি ফ্লিকের দলটি আর্থিকভাবে টানাপোড়েনের
কারণে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি ওলমোকে দলে নিবন্ধন করাতে পারছিল না। যা কাটিয়ে উঠতেই
গুন্দোয়ানের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে একাধিক স্প্যানিশ গণমাধ্যম।
বার্সা ছাড়ার বিষয়ে এক ইনস্টাগ্রাম
পোস্টে গুন্দোয়ান লিখেছেন, ‘আমি কঠিন একটি পরিস্থিতিতে পড়েছি, কিন্তু আমার দল ছাড়ার
কারণে হয়তো ক্লাব আর্থিকভাবে সাহায্য করবে। এটাই আমাকে ক্লাব ছাড়ার বেদনা কিছুটা হলেও
কমাবে। এবারের নতুন যাত্রায় আমি সতীর্থদের সহায়তা করতে চাই। ১২ মাসের বার্সা ক্যারিয়ারের
জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
এদিকে, ক্লাব বদলের আগে গত সোমবার আচমকাই
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেন গুনদোয়ান। ঘরের মাঠে সদ্য শেষ হওয়া ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে
জার্মানিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সি গুন্দোয়ান। অবসর বার্তায় গুন্দোয়ান লিখেছেন,
‘গত কয়েক সপ্তাহের ভাবনাচিন্তায় এ সিদ্ধান্তে এসেছি যে জাতীয় দলকে বিদায় বলার এটাই
সময়।’