প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪ ২০:৪২ পিএম
অনেক দিন ধরেই মাঠের বাইরে আছেন টাইগার পেসার এবাদত— সংগৃহীত ছবি
লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে এবাদত হোসেন। গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তার বাঁ পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল। লন্ডনে পরের মাসে তাকে যেতে হয় অস্ত্রোপচারের ছুরি-কাঁচির নিচে। বর্তমানে আছেন ৪৮ সপ্তাহের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে পুরোদমে বোলিং করা থেকে অল্প দূরে। টাইগার পেসার ইতোমধ্যে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এবাদত আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ম্যাচ ফিটের ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন। এরপর ডানহাতি এই পেসারের খেলা না খেলা নির্ভর করবে টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর। টাইগার স্পিডস্টার পাখির চোখ করেছেন ভারতের বিপক্ষে সিরিজ।
বাংলাদেশ দল এখন আছে পাকিস্তান। দুটি টেস্ট খেলার পর নাজমুল হোসেন শান্তরা উড়াল দেবে ভারতে। ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্ট। বুধবার মিরপুরে ওই সিরিজ দিয়ে ফেরার আশা জানান ইবাদত।
টাইগার পেসার বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ভারতের সঙ্গে যাতে খেলতে পারি। নির্ভর করবে যে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে ফেরাটা কতটুকু ইতিবাচক হবে। যেহেতু ভারতে দুইটা টেস্ট ম্যাচ আছে। তার আগে যদি টেস্ট ফিটনেসটা ফিরে পাই। আমার কাছে মনে হয় এখনো সুযোগ আছে। ভারত সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে যদি চার দিনের একটা ম্যাচ খেলা যায়, সেখানে খেলার সুযোগ পেলে বিচার করতে পারব টেস্ট খেলতে কতটুকু ফিট। ইনশা আল্লাহ দেখা যাক।’
লম্বা সময় পূনর্বাসনে থাকতে হয়েছিল এবাদতকে। পুনর্বাসনের সময়টা তাঁর কেমন কেটেছে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে ইবাদত বলেন, ‘সত্যি কথা, সেটা অনেক কষ্টের এক সময় ছিল। সেটা মনে করতেও চাই না এখন। কারণ সেই সময়টা এমন ছিল যে সব সময় একা একাই লাগত। খেলোয়াড় হিসেবে আমি সব সময় মাঠে থাকব, খেলব—প্রথম ছিল সেই কষ্ট। দ্বিতীয়ত হাঁটতেই পারছি না যে আমি একটু বাইরে যাব বা কারও সঙ্গে দেখা করব। কোনো সুযোগই ছিল না সেই সময়।’
বিসিবির স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম বলেছিলেন, এবাদতের লক্ষ্য যত দ্রুত মাঠে ফেরা। নেটে কিংবা অনুশীলনে দেখে যদি ম্যানেজমেন্টের মনে হয় রিদমে আছেন তাহলে ভারত সিরিজেও তাকে বিবেচনা করতে পারেন। পূর্ণ ছন্দে বোলিং করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন ইবাদত। তিনি বলেন, ‘ট্রেনার আমাকে একটা প্রোগ্রাম দিয়েছেন যে শেষ পর্যায়ে এসে কীভাবে বোলিং করা লাগে, ফিটনেস ধরে রাখতে হয়। সেটাই অনুসরণ করছি আপাতত। বোলিং ইনটেনসিটি ৮০ শতাংশই আছে। তাই আশা করছি দুই সপ্তাহ, তিন সপ্তাহের মধ্যে যেন পূর্ণ ছন্দে বোলিং করতে পারি।’
২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক এবাদতের। এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২০টি টেস্ট, ১২টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বাংলাদেশের পেস ইউনিটের এই স্তম্ভের মাঠে ফেরা এখন সময়ের ব্যাপার।