প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৪৩ পিএম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৪৫ পিএম
মানববন্ধনে বুধবার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলরক্ষক আমিনুল হক। সংগৃহীত ছবি
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর দাবি এখন বর্তমান ও সাবেক ক্রীড়াবিদদের। কয়েক দিন ধরেই এ বিষয়ে সোচ্চার তারা। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলরক্ষক আমিনুল হকও এর ব্যতিক্রম নন। খেলা ছাড়ার পর রাজনীতিতে যোগ দিয়ে নাম লেখান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি)। বর্তমানে দলটির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক তিনি। দেশের নতুন পথচলায় আমিনুল চান দলীয়করণ ও রাজনীতির প্রভাবমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন।
গতকাল বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সামনে ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে মানববন্ধন হয়। সেখানে এ কথা বলেন আমিনুল। এর আগে গত মঙ্গলবার বিসিবির ক্রিকেট পরিচালকদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। এবার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কমিটিকে পদত্যাগের আহ্বানও জানিয়েছেন আমিনুল। গতকাল বুধবার মানববন্ধন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো সব জায়গায় আওয়ামীকরণ করে রাখা হয়েছে। যার কারণে কাজী সালাউদ্দিন আমাদের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। দুদকে তার নামে যে দুর্নীতির মামলা হয়েছে, যে কর্মকর্তা সেখানে রয়েছেন, তাদের কাছে জোর দাবি করছি সেই মামলা উত্থাপিত করে তাকে আইনের আওতায় এনে তদন্ত করে তার বিচারকার্য সম্পন্ন করার।’
তবে সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে সাবধানে আগানোর আহ্বান আমিনুলের। ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মনে করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিফার একটি বাধা রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাত হয়েছে এই তথ্য ফিফার কাছেও আছে, আইসিসির কাছেও আছে। আমাদের বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, আমরা চাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফেডারেশনের নির্বাচন। কিন্তু এখানে যেহেতু আওয়ামীপন্থিরা বসে আছে, স্বৈরাচারী কায়দায় যারা চেয়ার দখল করে রেখেছে, তাদের রেখে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হবে না। আমরা চাই ক্রীড়া উপদেষ্টার (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) সঙ্গে বসে কথা বলে ফিফার যে নিয়ম আছে, সেই নিয়মকে রক্ষা করে একটি পথ বের করতে। ফুটবল ফেডারেশনে যারা দায়িত্বরত আছেন, তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগ করে ভবিষ্যতে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে গঠনমূলক নির্বাচন দিয়ে ফুটবল ফেডারেশন সাজাতে পারি, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার দাবি তুলে আমিনুল আরও বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে এখন থেকে ক্রীড়াঙ্গনের কোনো ফেডারেশনে দলীয়করণ, কোনো সংগঠনে রাজনীতি করা যাবে না। সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত থাকবে। কোনো রকম দলীয়করণের কোনো সুযোগ নেই এবং আমরা চাই যারা ত্যাগী, বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, মাঠে কাজ করেছেন, তাদের দিয়ে আমরা প্রত্যেকটি ফেডারেশন সাজাব। এখানে কোনো বিএনপিও থাকবে না, আওয়ামী লীগও থাকবে না। যারা যোগ্য তারাই থাকবে।’
গতকালের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও নরসিংদী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খাইরুল কবির খোকনসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের বঞ্চিত সংগঠক ও খেলোয়াড়রা।