সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবির মধ্যেই ক্যাম্পে ছুটি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪ ২১:২৩ পিএম
মনিকা চাকমার সেলফিতে সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মারিয়া মান্দা। সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ছবি: ঋতুপর্ণার ফেসবুক ওয়াল নেওয়া
পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম না মানায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের পদত্যাগ দাবিতে রবিবার ‘মার্চ টু বাফুফে’ ঘোষণা করে দেশের ফুটবলের সমর্থকগোষ্ঠী বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস। আন্দোলনকারীরা জড়ো হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সামনে। যদিও ফেডারেশনের সভাপতি বা নারী উইংয়ের প্রধান কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে এরই মধ্যে বাফুফে ক্যাম্পে থাকা নারী ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
নারী ফুটবলারদের ছুটি শুরু হয়েছে গত রবিবার থেকে। দেশের ফুটবলের টালমাটাল পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছেন চার নারী ফুটবলার- অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা। সোমবার ভুটানে পৌঁছেছেন তারা। সেখানে রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলবেন এএফসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে। বাকিরাও ক্যাম্প ছেড়ে গেছেন বাড়িতে। সোমবার সকালে সিনিয়র এই চার নারী ফুটবলার থিম্পু গেছেন। ভুটানের এই ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম পর্বে খেলবে ‘ডি’ গ্রুপে। প্রতিপক্ষ ইরানের বাম খাতুন ফুটবল ক্লাব ও হংকংয়ের কিচে স্পোর্টস ক্লাব। গ্রুপ পর্বের ২ ম্যাচ আগামী ২৫ ও ২৮ আগস্ট। ভুটানের ক্লাবটি ওই চার ফুটবলারকে চাওয়ার পর প্রথমে ছাড়পত্র দিতে চায়নি বাফুফে। অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকেই কারণ হিসেবে সামনে এনেছিল বাফুফে। ভুটানের ক্লাবটি এএফসি নারী চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে। বাংলাদেশের মেয়েদের নতুন অভিজ্ঞতা হবে, সে চিন্তা থেকেই পরে অনুমতি দেওয়া হয়।
এদিন বাফুফে ভবনের সামনে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের সামনে এসে কথা বলেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। মূলত তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, যাতে তারা আন্দোলন থামিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। তবে আন্দোলনকারীরা তার কথা শোনেননি। ওই দিনের মতো কর্মসূচি বাতিল করেছেন, তবে পরবর্তী কর্মসূচি পালনেরও সময় তারা শিগগিরই জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে ফেডারেশনকে নিয়ে আন্দোলন হলে কিংবা বাফুফের কমিটিতে থাকা কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করলে ক্ষতি দেশের ফুটবলেরই, এমনটাই বলেছেন ইমরান হোসেন তুষার, ‘কোনো কারণে বাফুফে নিষিদ্ধ হলে খেলোয়াড়দের ক্ষতি হবে। তাই সমর্থকদের বলেছি, ফুটবলে যেন কোনো ক্ষতি না হয়। ফুটবলকে তারা (সমর্থকরা) ভালোবাসে বলেই এখানে এসেছে। তবে কোনোরকম হস্তক্ষেপ যেন না আসে। বাফুফেকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে।’ শুধু বাফুফেতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলেই নিষিদ্ধ হবে না বাংলাদেশ। তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপও গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাফুফের নির্বাচন আগামী ২৬ অক্টোবর। কারও কোনো দাবি থাকলে তারা নির্বাচনে আসুক, গণতান্ত্রিকভাবে হোক সবকিছু।’