প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪ ২১:১৫ পিএম
মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা
ক্রিকেটার গ্রাহাম থর্প। গত ৫ আগস্ট তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও কী কারণে তার মৃত্যু
হয়েছে, তা তখন জানা যায়নি। এক সপ্তাহ পর জানা গেল, স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না থর্পের,
নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। তার স্ত্রী ও সন্তানরা জানিয়েছে, তীব্র বিষণ্নতা ও হতাশায়
ভুগে নিজের জীবন নিজেই কেড়ে নিয়েছেন সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটার।
সম্প্রতি ‘দ্য টাইমস’ সংবাদমাধ্যমকে থর্পের দীর্ঘদিনের সতীর্থ মাইকেল
আথারটনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার স্ত্রী আমান্ডা ও বড় মেয়ে কিটি নিশ্চিত করেন, থর্পের
আত্মহত্যা করার কথা। আমান্ডা বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে গ্রাহাম তীব্র বিষণ্নতা ও হতাশায়
ভুগছিল। আশাবাদী থাকলেও সে বিষণ্ন ও হতাশ ছিল, একসময় তা তীব্র হয়ে উঠেছিল। আমরা পরিবার
হিসেবে তাকে সমর্থন দিয়েছিলাম। তার অনেক চিকিৎসা হয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেগুলোর
কোনোটা কাজ করেনি।’
থর্পের ২২ বছর বয়সি মেয়ে কিটি বলেছেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কথা বলতে লজ্জিত
নই। এখানে লুকানোর কিছু নেই, কোনো অস্বস্তি নেই। আমরা তাকে আগেও সুস্থ করতে চেষ্টা
করেছি, তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। এখন এই খবরটা সবাইকে দেওয়া উচিত। কতটা ভয়ানক ব্যাপার।
আমরা এখন এই ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করব।’
১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইংলিশদের হয়ে ১০০ টেস্ট ও ৮২টি ওয়ানডে
ম্যাচ খেলেছেন থর্প। সাদা পোশাকে ৪৪.৬৬ গড়ে ১৬টি শতরান ও ৩৯টি অর্ধশতরানে করেছেন ৬৭৪৪
রান। এক দিনের ক্রিকেটে ৮২টি ম্যাচ খেলে ৩৭.১৮ গড় ও ২১টি ফিফটিতে করেছেন ২৩৮০ রান।
ক্যারিয়ারে ৩৪১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২১,৯৩৭ রান করেছেন থর্প। ৪৫.০৪ গড়ে ৪৯টি
শতরান ও ১২২টি অর্ধশতরান করেছেন। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে তার অবদানের জন্য ২০০৬ সালে
তাকে ‘মেম্বার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার সম্মান দেওয়া হয়।
এরপর থর্প ২০১০ সালেই ইংল্যান্ডের শীর্ষ ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
তারপর ক্রিস সিলভারউডের অধীনে সহকারী কোচের ভূমিকাও পালন করেছেন। ২০১৯ সালে ওয়ানডে
বিশ্বকাপ জয়ের সময়ও কোচিং স্টাফে ছিলেন তিনি। ২০২১-২২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের ভরাডুবির
পর চাকরিচ্যুত হন থর্প। পরে অবশ্য ২০২২ সালের মার্চে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে
নিয়োগ পান তিনি। কিন্তু এর দুই মাস পরই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন থর্প। তখন ‘গুরুতর অসুস্থতাকে’
কারণ দেখিয়ে আফগানদের দায়িত্বও ছেড়ে দেন।