প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪ ২০:১৯ পিএম
আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৪ ২০:২১ পিএম
খেলা আর রাজনীতিÑ দুটি দুই
মেরুর। তবে খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে জড়ানো এবং মন্ত্রী-এমপি হওয়ার ঘটনা নেহাৎ কম নয়। বিশেষত
এশিয়া মহাদেশে এ ঘটনা একটু বেশিই! শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা, পাকিস্তানের
পেসার ওয়াহাব রিয়াজের ঘটনা সবারই জানা। বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর
রহমান দুর্জয় রাজনীতিতে নাম লেখানো প্রথম ক্রিকেটার। পরে এই পথে হেঁটেছেন মাশরাফি বিন
মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান। ২০১৮ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে জাতীয় সংসদ সদস্য
নির্বাচিত হন মাশরাফি। নড়াইল ২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। অলরাউন্ডার সাকিব নিজ এলাকা
মাগুরা থেকে নির্বাচিত হন। জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় তাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় অনেক
সমালোচনা জন্ম দেয়। খেলা আর রাজনীতি একই সমান্তরালে চলে না বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।
এবার সে কথাই বলছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান।
ক্রিকেটার সোহান বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক
মাধ্যমে ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। এবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এসে ক্রীড়াঙ্গনকে
রাজনীতিমুক্ত রাখার কথা বললেন। সেটা শুধু ক্রিকেট সংগঠক নয়, ক্রিকেটারদের জন্যও প্রযোজ্য
হওয়া উচিত বলে মনে করেন সোহান।
আজ রবিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের
মুখোমুখি হয়ে সোহান বলেন, ‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়। রাজনীতি
একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন। কারও যদি রাজনীতি
করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত। খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায়
কিছু প্রটোকল অবশ্যই থাকা উচিত।’
ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা
বাস্তবায়নের জায়গা নয় মন্তব্য করে জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক বলেছেন, ‘কিছু মানুষকে
নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। এমন মানুষ আসা উচিত নয়, যারা খেলাকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়, ব্যক্তিগত
লক্ষ্য নিয়ে আসে। এখান থেকে রুটিরুজি বের করে সংসার চালাতে হবে, এমন কেউ সংগঠক হিসেবে
যেন না আসে। আমরা ক্রিকেটার, খেলাধুলা করে টাকা-পয়সা পাই। আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমার
গাড়ি-বাড়ি সব ক্রিকেটের মাধ্যমে হয়েছে। কিন্তু সংগঠকরা যারা আসবে, তাদের প্রতিষ্ঠিত
হয়ে আসা উচিত, ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসা উচিত। এখান থেকে বাড়ি-গাড়ি করার কিছু নেই।’
বিকেএসপির সাবেক উপদেষ্টা
ও কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতো লোকের বিসিবিতে আসা উচিত, ‘ফাহিম স্যারের মতো (নাজমুল
আবেদীন ফাহিম) মানুষ যারা আছে, তারা ক্রিকেট ভালোবাসে। এরকম মানুষেরই আসা উচিত, যাকে
নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই এবং কোনো বিতর্ক নেই। আশা করি অবশ্যই ভালো মানুষেরাই আসবে। এখনও
বোর্ডে কিছু ভালো মানুষ আছে, কিন্তু কাজ করার সুযোগ পায়নি। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট
যে জায়গায় থাকার কথা ছিল, সে জায়গায় এখন নেই।’