প্যারিস অলিম্পিক
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২১:১০ পিএম
প্যারিস অলিম্পিকের টেনিস এককের ফাইনালে জোকোভিচ-আলকারাস দ্বৈরথ। সংগৃহীত ছবি
গত মাসেই উইম্বলডনে তাদের দুজনের দ্বৈরথের সাক্ষী হয়েছে টেনিসপ্রেমীরা। সেই ম্যাচে স্পেনের কার্লোস আলকারাসের দাপটের সামনে একতরফা হেরেছিলেন সার্বিয়ার তারকা নোভাক জোকোভিচ। স্প্যানিশ তারকার বিপক্ষে পরপর দুটি উইম্বলডনের ফাইনালও হেরেছেন জোকোভিচ। এবার অলিম্পিকের সোনা জয়ের লড়াইয়ে মুখোমুখি দ্বৈরথে নামবেন দুই প্রজন্মের দুই মহাতারকা।
এর আগে গত শুক্রবার সেমিফাইনালে ইটালির লোরেঞ্জো মুসেট্টিকে ৬-৪, ৬-২ গেমে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠেন জোকোভিচ। প্রথমবার শুনে একটু অবাকই হওয়ার কথা। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ২৪ গ্র্যান্ডস্লাম জেতা খেলোয়াড় তিনি। সর্বকালের সেরার তালিকাতেও অনায়াসে চলে আসে তার নাম। কিন্তু সেই নোভাক জোকোভিচ এই অলিম্পিকের আগ পর্যন্ত সোনা বা রুপা জিততে পারেননি। কখনও যে ফাইনালেই খেলা হয়নি। ২০০৮ আসরে জেতা ব্রোঞ্জই জোকোভিচের অলিম্পিক ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার অবশ্য সেই আক্ষেপ মিটাতে চাইবেন তিনি। অন্যদিকে আলকারাস হারালেন কানাডার ফেলিক্স উজে আলিয়াসিমকে। স্পেনিয়ার্ড তারকা খেলাটি সরাসরি সেটে জিতেছেন ৬-১, ৬-১ গেমে। জোকোভিচের ঝুলিতে গ্র্যান্ডস্ল্যাম রয়েছে ২৪টি। আলকারাসের সেখানে মাত্র চার।
মহাদ্বৈরথের আগে জোকোভিচ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আলকারাসকে হারানো আমার কাছে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে চলেছে।’ ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল নিশ্চিত করার পর জোকোভিচ বলেছেন, এটা অনেক বড় ব্যাপার। পাশাপাশি তরুণ আলকারাসকে এ সময় তিনি ফেবারিট হিসেবেও মেনে নেন, ‘যেভাবে খেলছে, সে নিশ্চিতভাবেই ফেভারিট।’ প্রতিপক্ষ আলকারাস অবশ্য ফাইনালে তাকে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এবং ইতিহাস গড়তে দারুণভাবে রোমাঞ্চিত। তার কথায়, ‘জীবনে এমন মুহূর্তও যে আসবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি। ছোটবেলা থেকে অলিম্পিকে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছি। ফাইনালে নিজের সমস্ত শক্তি উজাড় করে দেব সোনা জয়ের জন্য।’
স্পেনের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক টেনিসের ফাইনালে উঠলেন আলকারাস। সেটি মনে করে ২১ বছর বয়সি তারকা বলেছেন, ‘শেষবার সোনা জিতেছিলেন রাফায়েল নাদাল। তিনি আমার প্রেরণা। আমি সেই মুহূর্ত আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। আমি নিশ্চিত, প্যারিস খালি হাতে কখনওই ফেরাবে না।’ সেমিফাইনাল শেষ হতে জোকোভিচ স্বীকারও করেন যে, তিনি কিছুটা স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন। এমনকি চেয়ার আম্পায়ার তাকে সময় নষ্টের জন্য একাধিকবার সতর্কও করেন। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে ম্যাচে জয় হাসিল করেন সার্বিয়ার মহাতারকা। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে কোর্টের মধ্যেই শুয়ে পড়তে দেখা যায় তাকে। চিচিপাস ও মুসেট্টিকে হারানোর পরে জোকোভিচের সামনে এবার সেন্টার কোর্টে হারের জবাব দেওয়ার লড়াই।