প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২০:২৮ পিএম
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৪ ২১:৫৬ পিএম
ফিফটি করে দলকে টেনেছিলেন অধিনায়ক রোহিত, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার দল জয় আনতে পারেনি— সংগৃহীত ছবি
শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। ১৩ বল থাকতেই স্কোর লেভেল করে নেন শিবম দুবে। ভারতের ড্রেসিংরুমে তখন জয়ের আনন্দ। কিন্তু মুহূর্তেই বদলে যায়। নাটকের দৃশ্যপটে নায়কের চরিত্রে বসেন চারিত আসালাঙ্কা। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ভারতের ভরসা হয়ে থাকা দুবেকে। পরের বলেই লাইন মিস করে বসেন আর্শদ্বিপ সিংকে। ২৩১ রানের লক্ষ্যে তাতেই ম্যাচ ফয়সালা হয় টাইয়ে।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতে ক্ষণে ক্ষণে বদলেছে ম্যাচের মোড়। ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কান শুরুতেই ধাক্কা খায়। সেই ধাক্কার চাপ সময় গড়াতে কখনও কমে কখনও বাড়ে। পাথুম নিশাঙ্কা ও দুনিথ ভেল্লালেগের ফিফটির পর ভানিদু হাসারাঙ্গার ব্যাটে আসে ২৩০ রানের পুঁজি। শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেট হারানোর দিনে ভারত হারিয়ে বসে সবকয়টি উইকেট। রোহিতের ফিফটি এবং শেষের দিকে খুচরো কিছু লড়াই ভারতকে আশা দেখালেও শেষটা হয় নাটকীয়। ভারত জিততে জিততে, হারের মতো টাইয়ের স্বাদ পায়।
লঙ্কান স্পিনারদের কাছে নাকানিচুবানি খাওয়ার বিষয়টি হজম হচ্ছে না রোহিত শর্মার। ছোট লক্ষ্যে ভারতের ইনিংস থামে ৪৭.৫ ওভারে। শ্রীলঙ্কার হয়ে চার স্পিনার নেন নয়টি উইকেট। ভারতের অধিনায়ক তাই খানিকটা নাখোশও, ‘লক্ষ্য অসম্ভব কিছু ছিল না। আমাদের ভাল ব্যাট করতে হত। আমরা কিছু সময় ভাল ব্যাট করেছি। ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলতে পারিনি। শেষটা হতাশাজনক হয়েছে। কখনও কখনও এ রকম হয়। সব মিলিয়ে ম্যাচের ফল ঠিকই আছে। শেষে একটা কথাই বলব, আমাদের আর একটা রান করা উচিত ছিল।’
এর আগে প্রেমাদাসায় টস জিতে লঙ্কানদের আটকে রেখেছিলেন ভারতের স্পিনাররা। রোহিত শর্মা সাতজন বোলার ব্যবহার করেছিলেন, শুভমন গিল ছাড়া বাকি সবাই পেয়েছেন উইকেট। ব্যাটিংয়েও ভালো করতে পারেননি গিল। বিরাট কোহলি এনেছেন ২৪ রান, মাঝের দিকে কেএল রাহুলের ৩১ ও অক্ষর প্যাটেলের ৩৩ রানে বিপদ কেটে গিয়েছিল। কিন্তু বাধ সেধেছেন হাসারাঙ্গা। শেষদিকে শিবমের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা।
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ড্র করেও তাই খুশি লঙ্কান অধিনায়ক, ‘ব্যাটারদের আরও ভালো করা উচিত ছিল। তবে আমরা ভেবেছিলাম ২৩০ রান যথেষ্ট। দুপুরের পর বোলিংটাও কঠিন হয়ে পড়ে। আলো আসতেই ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। (শেষ দিকে) যখন বাহাতি ব্যাটার ছিল ভাবলাম আমি তাদের বিপক্ষে বল করতে পারি। দ্বিতীয় ইনিংসে সতীর্থরা যেভাবে ফিল্ডিং করেছে, মাঠে যে এনার্জি দেখিয়েছে তাতে আমি খুশি। দুনিথ ও নিশাঙ্কার ব্যাটিংকে আলাদা করে বলতেই হয়।’
আগামীকাল রবিবার বিকাল তিনটায় একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। খেলাটি সরাসরি দেখাবে সনি স্পোর্টস টেন ৩।