প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪ ২০:৪৫ পিএম
অতীতে সফরকারী দলগুলোকে ভ্রমণ ভাতা দিত আয়োজক ক্রিকেট বোর্ড। কিন্ত আধুনিক ক্রিকেটে এই রীতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আয়ের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে অভিনব এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বার্তা দিয়েছে ইংল্যান্ড।
আগামী বছরের গ্রীষ্মে দীর্ঘ ২২ বছর পর একটি টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাবে জিম্বাবুয়ে। আধুনিক ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়েকে সফরের খরচ দিয়ে খেলতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড। গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিম্বাবুয়েকে ভ্রমণ খরচ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড।
গুল্ড জানান, ‘এটা অনেক বড় একটি দায়িত্ব। আইসিসির রাজস্ব বন্টন পদ্ধতির কথা বলুন কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের রাজস্ব ভাগাভাগি করা, সত্যি বলতে এসব যেভাবে হয়ে আসছে, তা পুরোনো হয়ে গেছে। এখানে পরিবর্তনের প্রয়োজন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আগামী বছর জিম্বাবুয়ে সফরে আসবে আমাদের এখানে। এমনিতে যেটা চলে আসছে, সফরকারী দল কোনো দেশে যাওয়ার পর তাদের আবাসন ও অন্যান্য কিছুর দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের থাকে। কিন্তু সফরে যাওয়ার জন্য কোনো ফি দেওয়া হয় না। আগামী বছর যখন আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলব, সফরে আসার জন্য ওদেরকে ফি দেব।’
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলিয়া সফরে তুলনামূলকভাবে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেট বোর্ডের সফর খরচ নিয়ে আলোচনা উঠেছিল। সে সময় ছোট দেশে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখা, দীর্ঘতম সংস্করণের জন্য সম্প্রচার স্বত্ব না পাওয়া এবং আইসিসির রেভিনিউ পদ্ধতিতে বিপর্যয় নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের (সিডব্লিউআই) প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘চার মাসে সিডব্লিউআই ২ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করে অস্ট্রেলিয়ায় দল পাঠিয়েছে। অথচ সেসব সিরিজ থেকে আর্থিক লভ্যাংশের পুরোটাই পেয়েছে সিএ (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া)। বিপরীতে আমরা ফিরেছি খালি হাতে। এটি কি কোনো ন্যায্য বিষয়? নাকি যুক্তিসঙ্গত কিংবা টেকসই পদ্ধতি?’
এমন ভোগান্তি লাঘবেই মূলত ট্যুরিং ফি’র মতো সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে ইসিবি। এ নিয়ে প্রধান নির্বাহী গোল্ড বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সফরের ৬ মাস, ৯ মাস আগে থেকেই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি আমি, কোন ধরনের সহায়তা আমরা করতে পারি। ব্যাপারটা অনেকভাবেই করা যায়, শুধু টেস্ট ম্যাচের চক্র দিয়েই নয়। যেমন, গত ক্রিসমাসের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে আমরা বাড়তি দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছি (আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচীর বাইরে), যাতে তাদেরকে সহায়তা করতে পারি। সবসময় আর্থিক সহায়তাই জরুরি নয়। অন্য অনেক পথ-ও আছে।’