প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪ ২২:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪ ২২:৫৭ পিএম
লিওনেল মেসি
চোট পেয়ে শুরুতেই দমে যাননি। চিকিৎসকদের শুশ্রূষা নিয়ে ফেরেন মাঠে। অল্পতে হার মানার মানুষ তো নন লিওনেল মেসি! খেলে যেতে থাকেন নিজের এবং আর্জেন্টাইনদের স্বপ্ন পূরণের অভীষ্ট লক্ষ্যে। কিন্তু দুর্ভাগ্য! আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি মাঠের লড়াইয়ে।
ঝুঁকি নিয়ে খেলতে গিয়ে পা পিছলে মাঠে পড়ে যান। তাতে গোড়ালি যায় ফুলে। মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে বসেই অঝোরে কাঁদতে থাকেন আর্জেন্টিনার এ প্রাণভোমরা। ইনজুরির জন্য গোড়ালির ব্যথা তো ছিলই। তার চেয়ে বড় ব্যথটা ছিল মেসির মনে। প্রিয় জন্মভূমিকে আরও একটি কোপা আমেরিকার শিরোপা উপহার দিয়েই মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফাইনাল শেষের আগেই দর্শক বনে যেতে হয় তাকে।
কলম্বিয়ার কাছে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তার দল হারবে না তো? অজানা এক আশঙ্কাই যেন পেয়ে বসেছিল মেসিকে। যে কারণে তার কান্নাটা ছিল বেশি। তার সেই কান্না চোখ ভিজিয়ে দিয়েছে অনেক ভক্ত-সমর্থকেরও। ফাইনাল শেষেও মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে মেসি ফের কেঁদেছেন। তবে এবার তার চোখে ছিল আনন্দাশ্রু। কেননা অতিরিক্ত সময়ে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা।
চোট নিয়েই শিরোপা জয়ের উৎসবে শামিল হন মেসি। তার দল যখন চ্যাম্পিয়ন, তখন বসে থাকেন কী করে! সতীর্থ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উদযাপন করতে গিয়ে যেন ভেসে গিয়েছিলেন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের তোড়ে। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে কিছু না বললেও ফুটবল অনুরাগীদের একেবারে হতাশ করেননি। নিজের চোট, আবেগ, শিরোপা জয়সহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
ইনস্টাগ্রামে একটি স্ট্যাটাস দেননি। গুনে গুনে পরপর তিনটি পোস্ট দিয়েছেন মেসি। প্রথম পোস্টে দুই হাতে কোপার দুই ট্রফি নিয়ে তোলা হাস্যোজ্জ্বল ছবি দিয়ে লেখেন, ‘আরও একটি...।’ দ্বিতীয় পোস্টে স্ত্রী ও তিন তনয়ের সঙ্গে শিরোপা উদযাপনের ছবি দিয়ে লেখেন, ‘পরিবার।’ পরে ভালোবাসার একটি ইমোজি দিয়ে লেখাটা আরও একটু বাড়িয়ে লেখেন, ‘সব সময় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ’।
নিজের তৃতীয় পোস্টে ফুটবলপ্রেমীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শুরুতে লেখেন, ‘কোপা আমেরিকা শেষ। প্রথমেই আমি আমাকে দেওয়া বার্তা আর অভিনন্দনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
নিজের চোটের হালনাগাদ খবর জানাতে গিয়ে পরে যোগ করেন, ‘আমি ঠিক আছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আশা করছি, দ্রুতই আমি মাঠে ফিরতে পারব এবং আমি যে কাজটা করতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, সেটা উপভোগ করব।’
পোস্টের শেষে মেসি লেখেন, প্রিয় সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও নিকোলাস ওতামেন্দির মতো সমান রোমাঞ্চিত তিনি, ‘ফিদেও (ডি মারিয়া) আমাদের ছেড়ে গেছে। কিন্তু আমরা আরেকটি কাপ জিতেছি। এ কারণে আমি খুব খুশি। বড় ব্যাপার হচ্ছে, তার মতো ওতা ও আমি- আমরা বিশেষ রোমাঞ্চ নিয়ে অনুভব করছি।’