প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪ ২১:১১ পিএম
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪ ২২:১১ পিএম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৯ জুন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে মারকাটারি আসর। নবম আসরটির গ্রুপ পর্বের কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। বাকি সব ম্যাচ হয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর আয়-ব্যয়ের হিসাবে লোকসানের মুখে পড়েছে আইসিসি।
এখনও বিশ্বকাপের আয়-ব্যয়ের হিসাব চূড়ান্ত হয়নি। তবে আইসিসির হাতে যে খসড়া এসেছে, তাতে শুধু খরচই বেশি হয়নি। লাভের বদলে ক্ষতি বেশি হয়েছে আইসিসির। বাজেটের চেয়ে বেশি কেন খরচ হলো, তা খতিয়ে দেখবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আগামী ১৯ থেকে ২২ জুলাই শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় আইসিসির গভর্নিং কাউন্সিলের বার্ষিক সম্মেলন এসব নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আইসিসির বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং ও ভেন্যু পরিদর্শক দলের সদস্য ও আয়োজক কমিটির প্রধান ক্রিস টেটলি পদত্যাগ করেছেন। তারা দুজনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। অবশ্য প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই বিশ্বকাপের আমেরিকা পর্বে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। অবশ্য ফারলং ও টেটলি আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তার দাবি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র পর্ব চলাকালীন খরচের কোনো নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য ছিল না। আইসিসি আশা করেছিল টিকিটের দাম বাড়িয়ে ‘অযাচিত ব্যয়’ পুষিয়ে নেবে। কিন্তু একাধিক ম্যাচে মাঠে দর্শক সমাগম কম হওয়ায় মোটা অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ক্রিস টেটলির বিরুদ্ধেও স্বজনপ্রীতির গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ওই কর্মকর্তা।
আইসিসির এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘বোর্ডের অনেক সদস্যই টেটলির কাজে খুশি নন। টেটলি ইস্তফা দিলেও বিশ্বকাপের আমেরিকা পর্বের ক্ষতির দায় তিনি এড়াতে পারেন না। আমেরিকার আরও কিছু শহরে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করা যেত। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক টেটলি নিউইয়র্কের বাইরে ম্যাচ আয়োজন করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। এমনকি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো যে পিচে হয়েছে, তাতে প্রতিযোগিতা শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনেরও ব্যবস্থা করেননি।’
এদিকে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ আইসিসির বরাতে জানিয়েছিল, ফারলং ও টেটলি কয়েক মাস আগেই পদত্যাগ করেছেন। এরপরও তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে গেছেন যেন নতুন কেউ এই দুই পদে যোগ দেওয়ার পর সবকিছু বুঝে উঠতে কিছুটা সময় পান এবং আইসিসির দৈনন্দিন কাজে যেন ব্যাঘাত না ঘটে।
এসব কিছু নিয়েই আলোচনা হবে ১৯ জুলাইয়ের বৈঠকে। আইসিসি কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, টেটলির জন্য আমেরিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সে দেশের বাসিন্দাদের সামনে ক্রিকেটকে আরও বেশি করে তুলে ধরা যেত। সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এ মাঠে অনুষ্ঠিত আট ম্যাচের সবকটি ছিল ‘লো স্কোরিং’। অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ে এসে সেখানে বসানো পিচগুলো ব্যাটসম্যানদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অর্থ অপচয়ের ব্যাপার তো আছেই।