প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪ ২১:০৬ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রক্তাক্ত দৃশ্য দেখে ব্যাথিত হয়েছেন জাতীয় দলের এই দুই ক্রিকেটার— সংগৃহীত ছবি
ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। গত কয়েক দিন ধরে চলা এই ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুরু থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা খুব একটা বাধার সম্মুখীন না হলেও গত সোমবার তাদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগ। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া আর দফায় দফায় সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। সংঘর্ষের সময় হামলা থেকে রেহাই পাননি নারী শিক্ষার্থীরাও। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন দৃশ্য দেখে ব্যথিত হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়।
শ্রীলঙ্কায় লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলতে যাওয়া টাইগার টপ অর্ডার ব্যাটার এক পোস্টে আবেদন জানিয়েছেন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতা বন্ধের, ‘সবকিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি। আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি আর রক্তাক্ত না হোক।’
কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় অনেকে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। ক্রীড়াঙ্গনের বাকি সবাই যখন চুপ, তখন তাওহীদের মতো রক্তের খেলা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। নিজের ফেসবুক পেজে টাইগার পেসার লিখেছেন, ‘আমি একজন ক্রিকেটার হলেও একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক।’
কোটা সংস্কারের পক্ষে ঢাবি, জাবিসহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। সম্প্রতি এতে যোগ দিয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। পরিস্থিতি তবে ক্রমশও অস্থিতিশীল হচ্ছে। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে আহত সংখ্যা বাড়ছেই। মৃত্যুর মিছিলেও যোগ হচ্ছেন কেউ কেউ।