কোপার ফাইনালে সমর্থকদের সংঘর্ষ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৩:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৩:৩৯ পিএম
কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা হারিয়েছে কলম্বিয়া। তবে মিয়ামিতে ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কলম্বিয়ার অনেক উগ্র সমর্থক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিনা টিকেটে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশের বাধায় তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতির। সেই ঘটনার জেরে কলম্বিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রামোন জেসুরুনসহ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে হার্ড রক স্টেডিয়ামে ‘কর্মকর্তা/কর্মচারীর ওপর হামলা’র অভিযোগে কলম্বিয়া ফুটবলের প্রধান রামোন জেসুরুন এবং তার ছেলে রামন জামিল জেসুরুনের পাশাপাশি ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি-ডেড কাউন্টি পুলিশ। এর আগে এনএফএল মিয়ামি ডলফিনসের বাড়ির গেটে কলম্বিয়ার উগ্র সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে খেলা শুরু হয় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে। এসময় তাদের বাধা দেওয়া অনেকেই নিরাপত্তাকর্মীদের হামলে পড়েছিল।
কলম্বিয়ার গণমাধ্যম এল তিয়েম্পো তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ম্যাচ শেষে ৭১ বছর বয়সী জেসুরুন ও তার ছেলেকে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। জেসুরুনের ছেলে জামিল ম্যাচ শুরুর আগে কলম্বিয়ার সব সমর্থককে মাঠে প্রবেশের সুযোগ দিতে বলেছিলেন এক নিরাপত্তাকর্মীকে। ঐ দর্শকদের টিকেট না থাকায় তিনি অস্বীকৃতি জানান। পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের আগে জেসুরুনও সমর্থকদের পক্ষ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছিলেন বলে দাবি গণমাধ্যটির।
মায়ামি-ডেড পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়াম থেকে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল ৫৫ জনকে।
স্থানীয় পুলিশ পরিচালক স্টেফানি ড্যানিয়েলস বলেন, ‘একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আমাদের কর্মকর্তাদের যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে আমরা এসব প্রতিযোগিতায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করব।’
কলম্বিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রামোন জেসুরুন ফিফা কাউন্সিলের সদস্য। এমন মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে দর্শকদের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছে কনমেবল। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সবাই ইতোমধ্যে জানেন মায়ামিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে দর্শকরা (একটি অংশ) টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে চাওয়া নিয়ে ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে। এর আগে দর্শকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশে দেরি এবং পরিস্থিতি বিচারে গেইটও বন্ধ করা হয়েছিল। এ নিয়ে কনমেবল হার্ডরক স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল, তবে নিরাপত্তা নিয়ে তাদের সঙ্গে যে চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব ছিল সেটি ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি।’
আটক হলেও জামিনে মুক্তি পেতে পারেন জেসুরুন। তবে এর জন্য জেসুরানকে ২ হাজার ডলার এবং তার ছেলে রামন জামিল জেসুরুনকে দিতে হবে ১ হাজার ডলার।