প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪ ২১:৩১ পিএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৪ পিএম
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে কোচের সঙ্গে অধিনায়কের আসাটাই রীতি।
কিন্তু স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের পাশে অধিনায়ক আলভারো মোরাতার বদলে আসেন জেসুস
নাভাস। সংবাদকর্মীদের মনে তখনই জাগে কৌতূহল। এরপর নাভাস নিজেই জানান তার আসার কারণ,
‘মোরাতা আমাকে বলেছিলেন, এখন আমার কথা বলার সময়। কারণ এটিই হতে যাচ্ছে স্পেনের হয়ে
আমার শেষ ম্যাচ।’
জাতীয় দলের হয়ে বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাভাস। স্পেনের
সোনালি প্রজন্মের এই ডিফেন্ডার আজ রবিবার রাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরোর ফাইনাল দিয়েই
ইতি টানবেন। জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেও আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত ক্লাব ফুটবল খেলে যাবেন
নাভাস। দেশের হয়ে খেলাটাকেই সব সময় বড় করে দেখেছেন ৩৮ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার। তার ভাষায়,
‘দেশের হয়ে খেলার জন্য সবকিছুই করেছি। দলের জন্য, দেশের জন্য প্রতিটি মুহূর্তে প্রয়োজনে
মরতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার এবং আমি এতে গর্বিত।’
নাভাস সব সময়ই দলের জন্য নিজেকে উৎসগর্স করেছেন। আবেগাপ্লুত নাভাস
সেই ফুটবল মাঠেই সব কিছু রেখে আসতে চান। দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়ায় গর্ব বোধ করেন।
ফলে ফাইনালেও নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে কাপ জয় সুনিশ্চিত করতে চান তিনি। সামগ্রিক
ফুটবল ক্যারিয়ার এবং দেশের হয়ে খেলতে নেমে যে অবদান রাখতে পেরেছেন তাতে তৃপ্ত ও উত্তেজিত
বোধ করেন নাভাস। তার মতে, ‘৩৮ বছর বয়সে খেলতে পারা ইউনিক ও অবিশ্বাস্য! তার কথায়, সাফল্যের
যাত্রাপথে সব সময় মাঠে, মাঠের বাইরে আমরা দল হিসেবে থেকেছি। তা আমাদের পারফরম্যান্সে
স্পষ্ট।’
স্পেনের হয়ে নাভাস ২০০৯ সালে প্রথমবার গায়ে জড়ান জাতীয় দলের জার্সি।
২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরোতে পান শিরোপার ছোঁয়া। ২০১৩ কনফেডারেশনস কাপে স্পেনের রানার্স
আপ দলেও ছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পাননি। এরপর প্রায় ৬ বছর ব্রাত্য
হওয়ার পর ২০১৯ সালে প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর আবার হারিয়ে যান ৩ বছর। সেখানেই তার আন্তর্জাতিক
ক্যারিয়ারের এপিটাফ লেখা হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু ক্লাব ক্যারিয়ারে সেভিয়ার হয়ে দুর্দান্ত
পারফরম্যান্স দেখে গত বছর তাকে স্পেন দলে নেন কোচ দে লা ফুয়েন্তে। সেই ধারাবাহিকতায়
এবার ইউরো দলে জায়গা করে নিয়েই গড়েন ইউরোতে স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে খেলার রেকর্ডও।
এখন শেষ বেলায় আরেকটি ট্রফি জিতে বিদায় রাঙাতে চান। জাতীয় দলের হয়ে ফাইনালের আগে ৫৬
ম্যাচে ৫ গোল করেছেন সাবেক এই ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।