প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪ ১২:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৩:০০ পিএম
ইংলিশদের প্রধান কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। সংগৃহীত ছবি
বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২-১ গোলে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। থ্রি লায়ন্সদের পরপর ইউরোর ফাইনালে ওঠার পরও বিশেষ কোনো অনুভূতি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।
এর আগে ২০২০ সালের ইউরো অনুষ্ঠিত হয় ২০২১-এ। সেবার রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইংলিশদের। ওয়েম্বলিতে ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ের পরে পেনাল্টি শুটআউটে ইতালির কাছে ৩-২ ব্যবধানে হার মানে ইংল্যান্ড। এটি ছিল ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর তাদের বড় আসরে প্রথম কোনো ফাইনালে উপস্থিতি। এবার রবিবার আরেকটি ফাইনাল অপেক্ষা করছে ইংল্যান্ডের সামনে। বার্লিনের এ ফাইনালে তারা মোকাবিলা করবে প্রতিযোগিতার তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে।
বড় আসরে ইংল্যান্ডের খেলা চারটি সেমিফাইনালের তিনটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাউথগেট। এ ছাড়া সাউথগেটের ইংল্যান্ড নয়টি নকআউট মাচ জিতেছে এবং তিনটি হেরেছে এবং একটি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলাও হেরেছে থ্রি লায়ন্সরা। শুক্রবার বিবিসি স্পোর্টকে সাউথগেট বলেন, ‘২০২১ সালের (২০২০ ইউরো) চেয়ে এটি ভিন্ন অনুভূতি। আমরা এখন একটি দল হিসেবে ভালো অবস্থানে রয়েছি। পরপর দুটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছি। এ ছাড়া অনেক বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতা রয়েছে এ দলটির। আমার মনে হয় আমাদের উদ্যাপনে কমতি ছিল। কারণ গতবারও আমরা ফাইনাল খেলেছি। আমি বলব না যে আমি খুশি নই। তবে এটাকে এখন একটু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। যদিও দল এবং মান অনুয়ায়ী আমাদের অর্জন সে তুলনায় হাস্যকর।’
সাউথগেটকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এর মানে কি ইংল্যান্ডের জেতা এখন অপরিহার্য? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের শেষটা জিততে হবে! যেটা আগেরবার আমরা জিতিনি। শেষ পর্যন্ত অন্যরা কী ভাবছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসলে আমাদের কীভাবে বিবেচনা করা হবে সেটি রবিবারের ফলাফল দ্বারা নির্ধারিত হবে।’ ম্যাচ জিততে কতটা মরিয়া ইংল্যান্ডে তা কিছুটা অনুমান করা যায় দলটির আগের ম্যাচের নায়ক ওয়াটকিনসের কথা থেকেই, ‘আমরা কীভাবে জিতব তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কেবল ফাইনাল জিততে হবে, এটিই এখন লক্ষ্য।’