প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪ ০৬:০৯ এএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৪:০৩ পিএম
ইংলিশ ফুটবলারদের ফাইনালে উঠার উল্লাস
লড়াইয়ের ৮০ মিনিটের মাথায় একাদশে জোড়া বদল আনে ইংল্যান্ড। আর তাতেই বাজিমাত করে দিয়েছে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। বুধবার রাতে ডর্টমুন্ডের মাটিতে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে ধরাশায়ী করে ফের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নাম লিখেছে ইংল্যান্ড। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ আর কেউ নয়, দারুণ ফর্মে থাকা স্পেন।
জাভি সিমন্সের গোলে নেদারল্যান্ডস লিড নিয়েছিল ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই। পরে ইংলিশদের সমতায় ফেরান হ্যারি কেন। এবং সেটা ১১ মিনিট বাদেই। শেষ দিকে অলি ওয়াটকিন্সের গোলে জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতে ইংল্যান্ড।
বিরতির পর যখন খেলাটা ঠিক জমে উঠছিল না। তখনই সাহসী সিদ্ধান্তটা নেন ফুটবল গুরু সাউথগেট। গোলদাতা হ্যারি কেইনকে তুলে নিয়ে তার বদলি হিসেবে নামান অলি ওয়াটকিন্সকে। কোল পামার একাদশে ঢোকেন ফিল ফোডেনের পরিবর্তে। ইনজুরি টাইমে সেই ওয়াটকিন্সের গোলেই নেদারল্যান্ডসের হৃদয় ভেঙে দেয় ইংল্যান্ড। কাজে লেগে যায় সাউথগেটের কৌশল। আগামী রবিবার স্পেনের বিরুদ্ধে শিরোপা ঘরে তোলার লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড।
শুরু থেকে বল নিজেদের দখলে রেখে খেলে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। প্রচেষ্টা ছিল ধীর লয়ে আক্রমণ রচনার। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের ছক ছিল ভিন্ন। ডাচরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। যার কারণে চার মিনিটের মাথায় প্রথম আক্রমণ শাণায় কমলা শিবির। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড বাঁচিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। তবে খুব বেশিক্ষণ ডাচদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি তারা। সপ্তম মিনিটেই লিড নিয়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস।
মিডফিল্ডে ডেক্লান রাইসের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেন সিমন্স। একাই বল নিয়ে ওঠেন আক্রমণে। বক্সে ঢুকেই নেন শট। শট নেওয়ার আগেই পিছলে গিয়েছিলেন। তবু সেই শটের যে গতি ছিল সেটা রুখতে পারেননি পিকফোর্ড। গোল হজম কিছু ক্ষণের জন্য দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডাররা। নেদারল্যান্ডসকে জায়গা করে দিচ্ছিল ইংলিশরা। ডাচরা সেই সুযোগ থেকে গোল আদায় করতে পারেনি।
হ্যারি কেইন শট নেওয়ার সময় পা তুলে তাকে ঠেকাতে গিয়েছিলেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। কেইন শট মারার পর ডামফ্রিসের পা ইংলিশ অধিনায়ককে আঘাত করে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভার) সাহায্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কেইনের নিখুঁত স্পটকিক রুখতে পারেননি নেদারল্যান্ডস গোলকিপার ভারব্রুগেন। সমতায় ফেরে ইংলিশরা। ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটেই জয়সূচক গোলটি করেন অলি ওয়াটকিন্স।