প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪৭ এএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৪ ১১:৩১ এএম
সূর্যকুমার যাদব ও এইডেন মার্করাম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভারতের এখন যেন আনন্দের সীমা নেই। কে কীভাবে ট্রফি নিয়ে উদযাপন করবে সেটা নিয়েই এখন সবাই ব্যস্ত। কিন্তু বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না চ্যাম্পিয়নদের। যার কেন্দ্র বিন্দুতে ডেভিড মিলারের ক্যাচ।
এনিয়ে নেটিজেনরা বিভক্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার ভক্তরা বলছেন, কিলার খ্যাত মিলারের ক্যাচ ধরার সময় সূর্যকুমার যাদবের পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেছিল। কিন্তু ভারতের ক্রিকেট অনুরাগীরা বলছেন উল্টো কথা।
কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার বা ধারাভাষ্যকারদের অভিমত, সূর্যকুমার ঠিক-ঠাকই ক্যাচ নিয়েছেন। অনেকে অভিযোগ করেন, যখন সূর্যের হাতে বল ছিল, তখন ‘বাউন্ডারি রোপ’-এ পা লেগেছিল সূর্যের। আর সেটা নাকি স্পষ্ট ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। আবার অনেকের দাবি, বাউন্ডারি লাইন যেখানে থাকার কথা ছিল, সেখান থেকে খানিকটা দূরে সরে গিয়েছিল ‘বাউন্ডারি রোপ’। আর বাউন্ডারি লাইন সরে যাওয়ার ফায়দা লুটে নিয়েছেন সূর্য।
শেষ ওভারে সূর্যের নেওয়া ক্যাচটাই ভারতকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দিয়েছে। ওই ক্যাচটা সূর্য ধরতে না পারলে ফের হয়তো হৃদয় ভাঙত ভারতীয়দের। সেক্ষেত্রে প্রথমবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতো দক্ষিণ আফ্রিকা। এজন্য বিতর্কটা আরও বেশি হচ্ছে।
রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। কিন্তু সীমানা দড়ির দিক থেকে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল দেখানো হয়নি। পরে রিপ্লেতে সীমানা দড়ি কিছুটা সরে গেছে দেখা যায়,। কারণ ঘাসের ওপর বাউন্ডারি লাইনের সাদা দাগ স্পষ্ট। সেই দাগের ওপরই পা ছিল সূর্যকুমারের। এ কারণে সেই ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক আরও উসকে দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এইডেন মার্করামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তৃতীয় আম্পায়ার একটু বাড়তি সময় নিয়ে রিপ্লে দেখতে পারতেন কি না? উত্তরে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক, ‘সত্যি বলতে, আমি এটা এখনও দেখিনি। দেখতে পারিনি। হ্যাঁ, রিপ্লে একটু দ্রুতই হয়েছে।’ দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আম্পায়ারের পক্ষেই মত দিলেন মার্করাম, ‘অবশ্যই তারা বেশ নিশ্চিতই ছিল যে এটা আউট এবং এই কারণেই রিপ্লে দ্রুত দেখেছে।’
ম্যাচের গতিপথ বদলে দেওয়া ক্যাচ নিয়ে সূর্যকুমার বলেন, ‘সেই মুহূর্তে বলটাকে দেখে আমার বিশ্বকাপ ট্রফি মনে হচ্ছিল। মনে হলো বিশ্বকাপটা মাঠের সীমানার বাইরে উড়ে যাচ্ছে।’
খানিকটা বিরতি নিয়ে তারকা এ ব্যাটার যোগ করেন, ‘এখন বেশ সহজে কথাগুলো বলতে পারছি। কিন্তু সে সময় কাজটা সহজ ছিল না একেবারেই। সকলেরই হয়তো মনে হয়েছিল ছক্কা হয়ে যাবে। আমার মনে হয়েছিল, বলটা আমার পক্ষে ধরা সম্ভব। তাই চেষ্টা করেছিলাম। সে সময় বাতাসের গতিও আমাদের পক্ষে ইতিবাচক ছিল। তাতে আমার লাভ হয়েছে। অনুশীলনে আমাদের নানা রকম ক্যাচ ধরতে হয়। আমাদের ফিল্ডিং কোচ নানা ভাবে অনুশীলন করান। এই ধরনের পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ভাবেই ক্যাচটা ধরেছি।’