টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪ ২১:৩৪ পিএম
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৪ ২২:২৬ পিএম
নিজেদের স্বার্থে অস্ট্রেলিয়া খুব করে চাইছিল বাংলাদেশ যেন আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয়— সংগৃহীত ছবি
মিচেল মার্শ খুব করে চাইছিলেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতুক। অ্যান্টিগায় পাখির চোখ করে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকরাও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সমীকরণও অমন করতে বাধ্য করেছিল— আফগানদের হারাতে পারলে যে সেমিতে উঠে যেত অস্ট্রেলিয়া। টাইগাররা ভুল করলে পুড়ত কপাল। নাজমুল হোসেন শান্তরা পারেননি, ভুলটাই করেছেন দারুণভাবে। সেই দুঃখে যখন মার্শের মন ভারাক্রান্ত, তখন কষ্টের মাঝে হাসির খোরাক জোগান গুলবাদিন নাইব।
ঘটনা মঙ্গলবারের। বাংলাদেশ তখন আফগানদের বিপক্ষে লক্ষ্য তাড়ায় ধুঁকছে। সেন্ট ভিনসেন্টে ম্যাচের তখন ১২ ওভার। সেমিতে যেতে তখন ৩ বলে ৩৫ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। আফগানদের বিদায় নিশ্চিত করতে ৫০ বল হাতে, সঙ্গে টাইগারদের তিন উইকেট। এমন অবস্থায় আরেকবার হানা দেয় বৃষ্টি। তখন যদি খেলা বন্ধ হয়ে যেত তবে ডিএলএস পদ্ধতিতে ২ রানে জিতে যেত আফগানিস্তান। সেই সুযোগটাই নিতে চেয়েছিলেন আফগানদের কোচ জোনাথন ট্রট।
কোচের ইশারা মেনে স্লিপে দাঁড়ানো গুলবাদিন ক্র্যাম্পের নাটক করে হঠাৎই শুয়ে পড়েন। সময় অনেকটা নষ্ট হয়। এরপর বৃষ্টি নামলে ২ রানে পিছিয়ে থেকে মাঠের বাইরে যেতে হয় বাংলাদেশকে। ক্রাম্পকাণ্ডের পুরো বিষয়টি দেখেই মূলত হেসেছে মার্শ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময়ে গুলবাদিনের ওই ঘটনাটিকেই বেশি টেনেছেন অজি অধিনায়ক, ‘আমি হাসতে হাসতে প্রায় কাঁদতে শুরু করেছিলাম। দিনের শেষে খেলায় যদিও এর কোনো প্রভাব পড়েনি। তাই আমরা এখন এটি নিয়ে হাসতে পারি। তবে এটি খুব মজার ছিল।’
মার্শের মতে, ম্যাচের বিলম্ব করতেই এই নাটক করেছিলেন গুলবাদিন। সেমির স্বপ্ন ভাঙা অজি অধিনায়ক বলেন, ‘কোচ জোনাথন ট্রটের নির্দেশেই এমনটা করেছেন গুলবাদিন নাইব। ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল যখন দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তিনি পড়ে যান। আফগানিস্তানের এই পরিকল্পনা ছিল ম্যাচের বিলম্ব করা।’
আফগানিস্তান সফল হয়েছিল। কাবুল থেকে কান্দাহারে সেমিতে ওঠার উৎসব নামিয়ে দিয়েছিলেন রশিদ খানের দল। হেলায় সেমিফাইনাল নিশ্চিতের সুযোগ হারানোর পর শান্তদের দল ম্যাচটাও খুইয়ে বসে। অথচ সমীকরণ সহজ ছিল। বোলাদের দাপটে অ্যান্টিগায় ১১৫ রান পর্যন্ত যেতে পারে আফগানিস্তান। লক্ষ্যে ১০৫ রান অবদি যায় বাংলাদেশ। আর সেমিতে ওঠার সমীকরণ বহুআগেই চাপা পড়ে ডটবলের স্তূপে।