প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ১৭:২৩ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪ ১৭:২৪ পিএম
টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সংগৃহীত ছবি
গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে শুরু হয়েছে শেষ আটের লড়াই। চলমান বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার ভোরে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার এইটে দুর্দান্ত সূচনা করেছে ইংল্যান্ড। এই পর্বে আটটি দলের মধ্যে আছে বাংলাদেশও। স্বাভাবিকভাবে দলগুলোর লক্ষ্য শেষ চার। তবে বাংলাদেশ আপাতত বেশি দূরে তাকাতে চায় না। শেষ আটে নাজমুল হোসেন শান্তরা কোনো ম্যাচ জিতলে সেটিকে বোনাস হিসেবে দেখছেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
হাথুরুসিংহে শেষ চারের লক্ষ্য স্থীর করেননি। তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হওয়া। সেটি দল পেরিয়ে গেছে। এবার শেষ আট থেকে বোনাসের আশা করছেন তিনি। বোধকরি এই পর্বে শক্তিশালি প্রতিপক্ষের দিকে তাকিয়ে শেষ চারের কঠিন আশাটা সরাসরি ব্যক্ত করেননি হাথুরুসিংহে। কেননা এই পর্বে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে। আগামীকাল শুক্রকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের নর্থ সাউন্ডে স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অজিদের মোকাবিলা করবে টাইগাররা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়।
এর আগে গ্রুপ পর্বে বোলারদের নৈপূন্যে শেষ আটে উঠেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের সামনে এখন অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। শান্ত, লিটনরা সেই চ্যালেঞ্জ কতটা উতরে যেতে পারেন সেটিই আপাত দেখার বিষয়। তবে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে খেলোয়াড়দের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চান কোচ হাথুরুসিংহে। অজিদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন লঙ্কান এই কোচ, ‘আমরা যখন এই টুর্নামেন্টে পা রাখি, তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল অন্তত শেষ আটে ওঠা। আমি মনে করি আমরা সেটি দারুণভাবে অর্জন করেছি। সহজেই এই কন্ডিশনের সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিতে পেরেছি এবং সত্যিই দল ভালো খেলেছে। এজন্য আমি খুশি এবং খেলোয়াড়দের পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে বলেছি। তবে আমরা তিন প্রতিপক্ষকেই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবো। এখান থেকে যা কিছু অর্জিত হবে, সবটাই আমাদের জন্য বোনাস।’
খেলোয়াড়দের পূর্ণ স্বাধীনতা দ্বারা হাথুরু ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটি জানা যায়নি। তবে শান্তদের সামনে কী দায়িত্ব পালন করতে হবে সেটি মনে করিয়ে দিতে ভুল করেননি, ‘আমার খেলাটাকে উপভোগ করি। সেটি আমি ওদের থেকে কেড়ে নিতে চাই না। খেলোয়াড়দের ক্লাব কিংবা দেশ, সবখানেই ওরা স্বাধীনতা নিয়ে খেলুকে এটা চাই। তবে ওদের স্বাধীনতা দিচ্ছি মানে এই নয় যে, ওরা যা ইচ্ছা তা-ই করবে। দলের প্রতি প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেটি ভুলে গেলেও চলবে না।’