প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ১২:৫৭ পিএম
ডেল স্টেইন
বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল গ্রুপপর্ব উতরানো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুর সেই বৈতরণী পেরিয়ে গেছেন টাইগাররা। জায়গা করে নিয়েছেন সুপার এইটে। লক্ষ্য এবার সেমিফাইনাল। টার্গেটটা অবশ্য নতুন নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের কাছাকাছি গিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করে তাওহিদ হৃদয় বলেই রেখেছিলেন নিজেদের আসল লক্ষ্যের কথা, ‘আমার কাছে মনে হয় শুধু সুপার এইট না, আমরা সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলার মতো দল। এটা আমার বিশ্বাস। আমার এই বিশ্বাসটা আছে।’
তখন তরুণ এ ব্যাটারের কথাটা শুনে অনেকে টিকা-টিপ্পনী কাটতেও দ্বিধা করেননি। তার সুরে কথা বললেন ডেল স্টেইন। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট লিজেন্ডের মত অবশ্য আরও একধাপ ওপরে। সাবেক এ তারকা পেসারের দৃঢ় বিশ্বাস, বিশ্বকাপ জয়ের সামর্থ্যও আছে বাংলাদেশের।
কুড়ি ওভারের বিশ্বমঞ্চে ধারাভাষ্যকার হিসেবে যুক্ত আছেন প্রোটিয়া এ কিংবদন্তি। সেন্ট ভিনসেন্ট বিমানবন্দরে পৌঁছেই বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ডেল স্টেইন। সেখানেই সুপার এইটে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও গ্রুপপর্বের পারফরম্যান্স নিয়ে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
টি-টোয়েন্টির মহাযজ্ঞে টাইগারদের শক্তিমত্তা ও সামর্থ্য নিয়ে স্টেইন বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের বিশ্বকাপ জয়ের সামর্থ্য আছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তারা জিতবে না, আমি এক্ষেত্রে আরও ১-২টি দলকে এগিয়ে রাখব। তবে তাদেরও সুযোগ আছে। এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য। সেমিফাইনালে ওঠে গেলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জয় থেকে মাত্র দুই ধাপ দূরে থাকবে। পিচ তাদের পক্ষে, যদি কন্ডিশন তাদের বোলারদের সহায়তা করে আর ভাগ্য পাশে থাকে… তাদের ফাস্ট বোলাররা সত্যিই ভালো করছে। স্পিনাররা তো সব সময় ভালো করছে।’
সাবেক প্রোটিয়া তারকা টাইগার ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে যোগ করেন, ‘তাদের (বাংলাদেশ) এই অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাস আছে ম্যাচ জিততে পারে। ১২-১৫ বছর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে গেলে মনে হতো তারা এখনকার নেপাল দলের মতো। তারা এখন ম্যাচ জিতছে, বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও হারাচ্ছে, তাদের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মেছে যে তারা জিততে পারে।’
গ্রুপপর্বে ৪ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়ে পাঁচজনের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বাংলাদেশের তানজিম হাসান সাকিব। বোলিং করেছেন ৪.৮০ ইকোনমিতে। তরুণ এ টাইগার পেসারের আগুনে বোলিংয়ে যারপরনাই মুগ্ধ স্টেইন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচে আমি মাঠে ধারাভাষ্যের কাজ করছিলাম, তখন কিছুটা কথা হয়েছে। তার গতি আছে। সুইং করতে পারে। ইয়র্কার, চেঞ্জ অব পেস সবই তার আছে। ওভার দ্য উইকেট বা রাউন্ড দ্য উইকেটেও দারুণ বোলিং করে।’