টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ১১:০১ এএম
শান্তদের চোখ এখন শেষ চার— ছবি: বিসিবি
কতদূর যাবে বাংলাদেশ? দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন শুনেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কৌশলী উত্তর দিয়েছিলেন টাইগার কাপ্তান। স্বপ্ন যা আছে, সেটি প্রকাশ করতে না চেয়ে বলেছিলেন প্রত্যাশা কম রাখতে। দর্শকদের মাতামাতি না করার অনুরোধও জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশ দল অবশ্য প্রাথমিক সফলতা পেয়েছে। সাতবারের চেষ্টায় উতরেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব।
শান্ত ব্রিগেডের সামনে এবার সুপার এইটের সুপার চ্যালেঞ্জ। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া, তারপর ভারত এবং আফগানিস্তান— এই বাধা টপকাতে পারলেই শেষ চার। কুড়ি কুড়ির বিশ্বকাপে যা আগে কখনও কোনো বিশ্বকাপে করতে পারেনি বাংলাদেশ!
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগ থেকেই শান্ত বলছিলেন, এমন কিছু করবেন যা আগে কেউ কখনও করতে পারেনি। শুধু সমর্থন চেয়েছিলেন। সমর্থকদের প্রতিদানও দিয়েছে দল। গ্রুপপর্বে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে পেছনে ফেলেছেন শান্তরা। তবে টাইগার কাপ্তানের স্বপ্ন এখানেই থেমে নেই। শেষ চারে কারা আসতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বকাপের শুরুর দিকে তিনটি নাম বলেছিলেন শান্ত। আরেকটির জন্য বাংলাদেশের অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। সেই অপেক্ষার প্রহর এবার ফুরাবার পথে। আর মাত্র কয়েকটি ধাপ। শেষ আটের তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলেই সেমিফাইনাল। বাংলাদেশও দেখছে সেই বড় স্বপ্ন।
লেখা সহজ হলেও কার্যত কঠিন তিনটি ম্যাচ বাংলাদেশের সামনে। সুপার এইট পর্বে পথ আরেকটু বন্ধুর। অস্ট্রেলিয়ার পর ভারত, তারপর মারকাটারি ফরম্যাটে লড়াকু আফগানিস্তানের মোকাবিলা চ্যালেঞ্জিংও বটে! একে তো বৈরী আবহাওয়া, তার ওপর শান্তদের টানা দুই দিন নামতে হবে দুই পরাশক্তির বিপক্ষে।
অ্যান্টিগায় ২১ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। পরদিনই ২২ জুন শান্তদের মোকাবিলা করতে হবে ভারতকে। সেন্ট ভিনসেন্টে শেষ আটের গ্রুপের শেষ ম্যাচ ২৫ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশ তবে শুরুতেই মনোযোগী বেশি। সূচনা ভালো হলে শেষটাও রাঙাতে পারবে বলে বিশ্বাস শান্ত ব্রিগেডের।
অ্যান্টিগায় টাইগারদের প্রথম প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া শক্তি-সামর্থ্যে অনেকটা এগিয়ে। বোলিং, ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিং— বাংলাদেশ তাদের থেকে যোজন পিছিয়ে। বিশ্বকাপেও দারুণ ছন্দে আছে মিচেল মার্শের দল। গ্রুপপর্বে সেরা হয়ে এসেছে শেষ আটে। বাংলাদেশের মতো আগামীকাল নিজেদের প্রথম ম্যাচ অজিরাও রাঙাতে চান। একই মাঠ তথা স্যার ভিভিয়ান স্টেডিয়ামে একদিনের মাথায় শান্তরা লড়বেন ভারতের বিপক্ষে। নামে-ভারে অন্যতম ফেভারিট দলটি বিশ্বকাপেও আছে দারুণ ছন্দে। পাকিস্তানকে বিদায় করে শুরু করা রোহিত শর্মার দল জিতেছে গ্রুপপর্বের সব ম্যাচ।
বোলিং কিংবা ব্যাটিং সব বিভাগেই নিজেদের দিনে তারা প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি। বিশ্বকাপের শেষ আটে ১ নম্বর গ্রুপে অপেক্ষাকৃত সহজ দল আফগানিস্তান। বাকি দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশ্বকাপে জয় না থাকলেও আফগানদের বিশ্বমঞ্চে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট রশিদ খানদের বিপক্ষে তাই টাইগারদের নিয়ে বাড়তি প্রত্যাশা। তবে শান্তদের চোখ অ্যান্টিগায়। এখানের দুটি ম্যাচের একটিতে জিততে পারলে, পরের পর্ব সহজ হয়ে উঠবে বাংলাদেশের।
শেষ চারের সেই লুকায়িত স্বপ্ন কতটা বাস্তবে আনতে পারেন শান্তরা, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা।