প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ১০:১২ এএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪ ১১:২২ এএম
গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সেই শঙ্কা কাটিয়ে সুপার এইটে পা রাখতেই চেনা রূপে ফিরল ইংলিশরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছিনিয়ে নিল ৮ উইকেটের দাপুটে এক জয়। ১৫ বল হাতে রেখেই জস বাটলাররা নিজেদের সেরা আটের শুরুটা রাঙাল জয়ের রঙে।
সেন্ট লুসিয়ায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটা ছিল দারুণ। অবশ্য মাঝে ব্যাটিং ছন্দে ছেদ পড়ে যায় চোটের জন্য। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ব্র্যান্ডন কিং। জনসন চার্লসের ব্যাটে এগোতে থাকে রানের চাকা। দলীয় স্কোর ৯৪-এ পৌঁছতেই ৩৮ রান নিয়ে ফিরে যান চার্লস। এতেই কোনো ব্যাটারের ব্যক্তিগত ইনিংস বড় না হলেও ৪ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানরা পেয়ে যায় ১৮০ রানের লড়াকু পুঁজি।
চার্লস সাজঘরে ফিরতেই রভম্যান পাওয়েল ও নিকোলাস পুরান ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন। দুজনেই দলীয় স্কোরে যোগ করেন সমান ৩৬ রান করে। শেষ দিকে শেরফান রাদারফোর্ড অপরাজিত থেকে যান ২৮ রানে।
বল হাতে বলতে গেলে তেমন কিছুই করতে পারেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। ১টি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, লিয়াম লিভিংস্টোন ও মইন আলি।
ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে বল হাতে সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজও। এ সুযোগে দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ১৭.৩ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ১৮১ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বর্তমান শিরোপাধারী ইংল্যান্ড।
ওপেনার ফিল সল্ট ৮৭ রানের হার না মানা দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। তার ৪৭ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ৭ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায়। তৃতীয় উইকেটে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে গড়েন ৪৪ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত এক জুটি। তার পার্টনার জনি বেয়ারস্টো ৪৮ রানে অজেয় থেকে যান। ২৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় গড়েন ক্যামিও ইনিংসটি। তাদের সঙ্গে জস বাটলার ২৫ রানের বেশি এনে দিতে পারেননি।
বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও রোস্টন চেজ।