প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১৪:৩২ পিএম
টি-টোয়েন্টিতে দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবশেষ ২০১৬ সালের আসরের ট্রফি জিতেছিল তারা। এবার ঘরের মাঠে আয়োজিত কুড়ি কুড়ির আসরে শিরোপা জিততে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। টানা দুই জয়ে সে পথেই এগোচ্ছে স্বাগতিকরা। সবশেষ ম্যাচে উগান্ডাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবিয়েছে রোভম্যান পাওয়েলের দল।
আফ্রিকার দেশ উগান্ডা বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলছে। দু’দিন আগেই পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বিশ্বমঞ্চে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। ব্রায়ান মাসাভাদের সেই সুখস্মৃতি বিলীন হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ে। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৩৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-উগান্ডা ম্যাচে যত রেকর্ড-
৩৯টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে এটিই সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে ২০১৪ সালের আসরে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রানেই অলআউট হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উগান্ডার সর্বনিম্ন স্কোর এটি।
১৩৪টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় এটি। এই রেকর্ডটিও করেছিল শ্রীলঙ্কা, ২০০৭ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে। কেনিয়ার বিপক্ষে ১৭২ রানে জিতেছিল তারা। এছাড়া সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় জয় এটি। ২০১৪ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়েছিল তারা।
৬ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে টানা ছয়টি ম্যাচ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল তারা। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে টানা ৭টি ম্যাচ জিতেছিল ক্যারিবীয়রা।
১৭৩ইনিংসে কোনো ব্যাটসম্যানের ফিফটি ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বো১৭৩ ইনিংসে কোনো ব্যাটসম্যানের ফিফটি ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ স্কোর এটি। ২০১৪ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ফিফটি ছাড়া ১৬৬ রান করেছিল ক্যারিবিয়ানরা।
১উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে ৪ব ওভারে ১১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন। কুড়ি কুড়ির বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম কোনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলার হিসেবে প্রথম ৫ উইকেট নেন তিনি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে লেগস্পিনার স্যামুয়েল বাদ্রির ১৫ রানে ৪ উইকেট ছিল আগের সেরা।
৮উগান্ডার আট ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ বা বোল্ড হয়েছেন। অর্থাৎ ফিল্ডারের কোনো সহায়তা লাগেনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ফিল্ডারের সহায়তা ছাড়া এর চেয়ে বেশি আউটের ঘটনা আছে আর একটি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের ৯ ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ বা বোল্ড হয়েছিলেন।