টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ০৯:৫৫ এএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪ ১০:৩১ এএম
২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসেছিল বাংলাদেশে। মারকাটারি এই আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রানে অলআউট হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। যেটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার নজির। লজ্জার ওই রেকর্ডে ডাচদের পাশে বসল উগান্ডা। প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে আসা আফ্রিকার দেশটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অলআউট হলো ৩৯ রানে।
রবিবার (৯ জুন) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল উইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে ১২ ওভারে মাত্র ৩৯ রানেই ইনিংস গুটিয়ে যায় উগান্ডার। এতে বিশ্বকাপের, সহ-আয়োজকরা জিতেছে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে। রানের হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়। কেনিয়ার বিপক্ষে ১৭২ রানের জয় আছে শ্রীলঙ্কার।
১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা উগান্ডাকে গুটিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন আকিল হোসেন। বাঁহাতি এই স্পিনার ১১ রান দিয়ে একাই শিকার করে নেন ৫ উইকেট। জুমা মিয়াগির অপরাজিত ১৩ রান ছাড়া উগান্ডার হয়ে কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ রান আসে রবিনসন ওবুয়ার ব্যাট থেকে।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেউ বড় ইনিংস খেলেননি, তা সত্ত্বেও বড় সংগ্রহের জন্য বেগ পেতে হয়নি তাদের। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন জনসন চার্লস। তবে তার ইনিংসটা টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। ৪৪ রান করতে ৪২ বল খেলেন তিনি। অবশ্য শেষের দিকে তা পুষিয়ে দেন আন্দ্রে রাসেল। শেষ ওভারে ১৮ রান তোলা রাসেল ১৭ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।
ব্রান্ডন কিং ১৩ রানে ফিরে গেলে নিকোলাস পুরান উইকেটে স্থির হওয়ার চেষ্টা করেন। ২২ রান করার পর ব্রায়ান মাসাবার ওভারে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। চার্লজ বিদায় নেন দলীয় ১০৫ রানে। এরপর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ও শেরফান রাদারফোর্ড ছোট ছোট ইনিংসে দলকে সহায়তা করেন। পাওয়েল ১৮ বলে ২৩ ও রাদারফোর্ড ১৬ বলে ২২ রান করেন। রোমারিও শেফার্ড করেন ৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০ ওভারে ১৭৩/৫ (জনশন চার্লস ৪৪, অ্যান্দ্রে রাসেল ৩০*; ব্রায়ান মাসাভা ২/৩১, আল্পেস রমজানি ১/১৬)।
উগান্ডা : ১২ ওভারে ৩৯/১০ (জুমা মিয়াগি ১৩*, রবিনসন ওবুয়া ৬; আকিল হোসেন ৫/১১, আলজারি জোসেফ ২/৬)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৪ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : আকিল হোসেন।