প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ০০:১৪ এএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪ ০৩:২৮ এএম
ডেভিড মিলার ও কেশব মহারাজার জয় উদযাপন
দারুণ সময় কাটছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ছুটে চলেছে জয়রথে চেপে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করা প্রোটিয়ারা পেল আরও একটি দাপুটে জয়। ওটনেইল বার্টম্যানের পেস ঝড়ের পর ডেভিড মিলারের ব্যাটিং ঝলকে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। আজ নেদারল্যান্ডসকে গুঁড়িয়ে আফ্রিকার কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক আসরে দলটি ছিনিয়ে নিল দ্বিতীয় জয়। ডাচদের ৪ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইটের উঠার পথে এক পা দিয়ে রাখল অধিনায়ক এইডেন মার্করামের দল।
তবে শুরুর বাজে ব্যাটিংয়ে জেগেছিল প্রোটিয়াদের ডাচ–জুজুর পুনরুত্থানের আশঙ্কা। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হার মেনেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা দুই বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান টিমটির কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরাশায়ী হওয়ার দুঃসহ স্মৃতি যেন ফিরে আসতে চাচ্ছিল। তবে হার্ড-হিটার ডেভিড মিলার বৈশ্বিক আসরে নিজেদের বিপক্ষে ডাচদের অঘটনের হ্যাটট্রিক করতে দেননি।
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডস। তাসের ঘরের মতো উড়তে থাকে ডাচ ব্যাটিং লাইনআপ। দলীয় ১৭ রানে নাই হয়ে যায় ৩ উইকেট। ৩২ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। আর ৪৮ রানে খুইয়ে ফেলে তারা ষষ্ঠ উইকেট। উইকেটে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে ব্যাটিং লাইনআপের হাল ধরেছিলেন সাইব্র্যান্ড এনজেলবাখট।
তার ৪০ রানের ওপর ভর করে শতরান ছাড়িয়ে যায় ইউরোপিয়ান দলটির পুঁজি। এনজেলবাখট বিদায় নেওয়ার পর দলীয় স্কোর আর এগোয়নি। তাতে যোগ হয় মাত্র এক রান। ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে থামে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং অভিযাত্রা। শেষ দিকে লগান ফন বিক ২৩ রান এনে দিলেও সংগ্রহটা আর বড় হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন ওটনেইল বার্টম্যান। দুটি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন ও আইনরিখ নর্কিয়া।
জবাবে ব্যাটিং ধসের কবলে পড়েছিলেন প্রোটিয়ারাও। ৩ রানে ৩ উইকেট হাওয়া হয়ে যায়। দলীয় ১২ রানে উধাও ৪ উইকেট। আর ৮৮ রানে পড়ে যায় ষষ্ঠ উইকেট। শেষে কিলার মিলারের ফিফটিতে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮.৫ ওভারে ১০৬ রান তুলে জয়ের উল্লাসে মাতে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অজেয় থেকে যান মারকুটে এ ব্যাটার। ৫১ বলের চমৎকার ইনিংসটি সাজান ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায়। ট্রিস্টান স্টাবস ৩৩ রান যোগ করেন।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ভিভিয়ান কিংমা ও লগান ফন বিক। একটি উইকেট পান বাস ডি লিড।