প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪ ১১:৫৫ এএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪ ১২:৫৮ পিএম
শাহিন আফ্রিদি ছিলেন কার্যত ব্যর্থ
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের শঙ্কাই সত্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নিয়ে তাদের ভবিষ্যদ্বাণী ও প্রত্যাশা ছিল তলানিতে। বেশিরভাগের দাবি ঠিক এ রকম—এই পাকিস্তান বেশি দূর এগোবে না। নানা অঘটনের সাক্ষী হবে। হলোও তাই। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভরাডুবি দিয়ে নবম বিশ্বকাপে যাত্রা হলো বাবর আজমদের।
বৃহস্পতিবার রাতটি আজীবন স্মরণে থাকবে পাকিস্তানের। ব্যাট করতে নেমে বাবরের দল হোঁচট খেলেও শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায়। আনকোরা মার্কিনিদের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে। ১৫৯ রান মোনাক প্যাটেলদের বিপক্ষে জেতার মতো স্কোরই বটে। কিন্তু বাঁক বদলে ম্যাচটি দেখিয়েছে নানা রঙ। সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে স্বাগতিক দেশ তোলে ১৮ রান। জবাবে পাকিস্তান তুলতে পারে ১৩ রান।
পাকিস্তানের এমন বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বোলারদের হাপিত্যেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ আমির—পেসারদের মধ্যে কেউই ভালো বোলিং উপহার দিতে পারেননি। ৬ ইকোনমি রেটে রান দিয়েছেন তো বটে, উঠেছে ৯-এর ওপরেও। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাবরও সে কথা বলেছেন। পাকিস্তান অধিনায়কের মতে, ম্যাচটা সুপার ওভারে যাওয়ার মতো না। জেতার মতো স্কোর করেছিলেন তারা। বলেছেন, ‘আমরা মানসম্পন্ন বোলিং করতে পারিনি । প্রথম ১০ ওভারে এটার ঘাটতি ছিল, তারপর ফিরে আসি। আমাদের বোলিং বিচারে (রানের) পুঁজিটা ডিফেন্ড করা উচিত ছিল। এ পিচে বোলিং বিচারে একটা ডিফেন্ড করার মতোই পুঁজি ছিল।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম জয়, তা-ও বিশ্বমঞ্চে। এমন অর্জনের জন্য মোনাঙ্কদের অভিবাদন জানাতে কার্পণ্য করেননি বাবর, ‘আমরা মোমেন্টাম ফিরে পেয়েছিলাম, কিন্তু টানা উইকেটের ধাক্কা সামলে ওঠা কঠিন ছিল। (বোলিংয়ে) আমরা প্রথম ৬ ওভারে ভালো করতে পারিনি। উইকেট নিতে পারিনি, স্পিনাররাও পারেনি। শেষের দিকে ঘুরে দাঁড়ালেও আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। তবে ওরা যেভাবে শেষ করেছে তাতে কৃতিত্বটা যুক্তরাষ্ট্রেরই।’
যুক্তরাষ্ট্রের শেষটা ছিল চমক জাগানিয়া। বিশেষ করে সুপার ওভারে ১৮ রান তুলেছিল তারা। মাত্র একটি বাউন্ডারি, তার পরও স্কোর ঠেকে ১৮ রানে। অভিজ্ঞ পেসার আমিরের হাতেই বল তুলে দিয়েছিলেন বাবর। তবু ৩টি ওয়াইডসহ ৭টি ‘এক্সট্রা’ দিয়েছেন এ পেসার। পাকিস্তানের অধিনায়ক জানিয়েছেন, ‘আমির অভিজ্ঞ। কীভাবে বোলিং করতে হয় তার জানা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানেরা বেশ স্মার্ট। বল উইকেটকিপারের হাতে থাকতেও তারা দৌড়েছে (রানের জন্য)। সুপার ওভারে এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিল।’
আইসিসির সহযোগী দেশের কাছে হারে নানা প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে হালকাভাবে নিয়েছিল বাবররা—এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘ছোট দলের বিপক্ষে একটু শিথিলতা থাকেই। তবে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে না পারলে অবশ্যই ভুগতে হবে। প্রস্তুতিতে আমরা ভালো করেছি। কিন্তু ম্যাচে দল হিসেবে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি।’