কাজী হাফিজ ও দীপক দেব
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪২ এএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে কারা বসতে যাচ্ছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের বিপরীতে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী এমপি নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। এবার সংসদের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৪৮ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে বাকি দুটি আসনে মনোনয়ন দেবে ১১ আসন পেয়ে বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোন দল কয়টি আসন পাবে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে কোনো সমস্যা নেই। ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আগামী সপ্তাহে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নারী নেত্রীরা। পিছিয়ে নেই রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরের নেত্রীরাও। একাদশ সংসদে নারী আসনের এমপি ছিলেন এমন নেত্রীরাও জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে থাকার জন্য। তবে এবার নতুনদের বেশি জনকে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। দলটির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত আসনে সাবেক সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগের জায়গায় নতুনদের সুযোগ করে দিতে আগ্রহী আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এ ক্ষেত্রে ত্যাগী ও পরীক্ষিতরা এগিয়ে রয়েছেন।রাজনৈতিক কারণে মনোনয়নবঞ্চিতরা সবচেয়ে এগিয়ে আছেন নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের কাউকে কাউকেও দেখা যাবে সংসদে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করেন এমন কারও কারও বিষয়েও বিবেচনা করছে দলটির হাইকমান্ড।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে গত সপ্তাহের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডে আলোচনা হয়। সেখানে নতুনদের বিষয়ে বেশি আগ্রহ দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে পৃথকভাবে কথাও বলেছেন। সেখানেও নারী আসনে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্তের কথা নেতাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীদেরও জানিয়েছেন।
ওই বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক অনেককেই নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে সাবেক এমপিদের মধ্যে কেউ কেউ দেখা করে সালাম দিতে গেলে তাদের সরাসরি না করে দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া গত ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার কারণে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে যান। সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপ্রত্যাশী নারী নেত্রীদের অনেকেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নারী নেত্রীদের কেউ কেউ সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবারের সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নতুনদের সুযোগ দিতে তার আগ্রহের কথা জানান। তবে দলের সিদ্ধান্তের কারণে যারা সরাসরি নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েও সরে গেছেন বা মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন এমন কাউকে কাউকে এবারও নারী আসনে দেখা যেতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি দুয়েকটি আসন শরিকদের ছাড় দেওয়া হতে পারে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদকে একটি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিকে একটি করে আসন ছাড়ার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। অন্য দলগুলোর মধ্যে ন্যাপের সম্ভাবনা থাকলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও তেমন কোনো আলোচনা শুরু হয়নি।
একাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনে এমপির সংখ্যা ছিল ৪৩টি। এর মধ্যে চারজন এবার সরাসরি নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এমপি হিসেবে জয়ীদের মধ্যে রয়েছেনÑ খাদিজাতুল আনোয়ার, রুমানা আলী, সুলতানা নাদিরা ও তাহমিনা বেগম। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ সংসদের বাকি যে ৩৯ জন আছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ এবারও থাকতে পারেন তবে সেই সংখ্যা খুবই কম।
এদিকে গত ২৮ জানুয়ারি গণভবনে স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে নবনির্বাচিত ৬২ স্বতন্ত্র এমপির প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকার ইচ্ছার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সংরক্ষিত নারী এমপির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেন। এবার আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনের বিপরীতে ৩৮ জনকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়ন দিতে পারবে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র ৬২টি আসনের বিপরীতে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ জন। সেই হিসাবে সংরক্ষিত ১০ জনসহ মোট ৪৮ জনকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিষয়টি গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
এই দিন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের চিঠি পৌঁছে দেওয়ার পর জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। সেই হিসাবে আওয়ামী লীগ তাদের ও স্বতন্ত্র মিলে ৫০ আসনের মধ্যে ৪৮ আসনে প্রার্থী দিবে।’তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তানদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের সমর্থনে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন নারী নতুন করে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হতে পারেন।’
সংবিধান অনুযায়ী, নারীদের জন্য জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। সাধারণ নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে এসব সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।এ হিসাবে চলতি বছরের ৯ এপ্রিলের মধ্যে ইসিকে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট করতে হবে।
এদিকে এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নে পরীক্ষিত ত্যাগীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত আসন পঞ্চাশের মধ্যে আমাদের সদস্য সংখ্যার সঙ্গে স্বতন্ত্রদের পক্ষ থেকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে মনোনয়ন চাওয়া ও ফরম নেওয়ার যে হিড়িক, সে তুলনায় দেওয়ার সংখ্যা তো খুবই কম। পরীক্ষিত ত্যাগীদের এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে। যারা দুঃসময়ের পরীক্ষিত বন্ধু তাদের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেব। দলগতভাবে ৩৮ ও স্বতন্ত্রদের থেকে ১০ আসনে ৪৭/৪৮ জনের মনোনয়ন দেব।’
যারা আছেন আলোচনায় :
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনে দলের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরও জোটের কারণে তাকে বসে যেতে হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সালেও একই অবস্থা হয়েছিল। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রাখার কারণে তিনি সংরক্ষিত আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে অনেকের থেকেই এগিয়ে আছেন। একই অবস্থা সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালকে সুযোগ করে দিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেন তিনি। তাকে নিয়েও দলের হাইকমান্ডের ইতিবাচক ধারণা রয়েছে।এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেত্রী এবার আলোচনায় আছেন। এর মধ্যে রয়েছেনÑ অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান। একাদশ জাতীয় সংসদেও তিনি সংরক্ষিত আসনের সদস্য ছিলেন। আলোচনায় আছে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানার নামও। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিশেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর আহত আওয়ামী লীগ নেতাদের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা ও মারুফা আক্তার পপি ও হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াও রয়েছেন আলোচনায়। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেয়েও নাগরিকত্ব জটিলতায় সরাসরি আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারা আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা আছে দলের মধ্যে।
সহযোগী সংগঠনের মধ্যে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি সরাসরি ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। সংরক্ষিত আসনে তাকে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে দুই ধরনের আলোচনা আছে। এবার মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া পান্নাও রয়েছেন আলোচনায়। এ ছাড়া যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজী সারোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলিÑ দুজনকে নিয়েও আলোচনা আছে। এ ছাড়া বরাবরের মতো এবারও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আরমা দত্ত। বাসন্তী চাকমা ও গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার গত সংসদে থাকলেও তাদের জায়গায় এবার নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এবার খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপিকা রাণী সমাদ্দার।
এ নির্বাচনে ভোটের প্রয়োজন হয় না
সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে ভোটগ্রহণের তারিখসহ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোটের প্রয়োজন হয় না। প্রাপ্য কোটা অনুসারে দল বা জোট থেকে যাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তারাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনটি পার হওয়ার পর। তবে দল বা জোট থেকে মনোনয়ন দেওয়ার পরও রিটার্নিং অফিসার প্রার্থিতা বাতিল করেছেন- এমন নজীর রয়েছে। যথাসময়ে টেলিফোন বিল পরিশোধ না করায় রিটার্নিং অফিসার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবিহা নাহার বেগম (সাবিহা মুসা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আরা হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে এ দুই আসনে আবারও নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয় এবং ওই দুজনই সংশ্লিষ্ট দুই দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন।
৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে সব আসনে নির্বাচন না হওয়ারও নজির রয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদে। ওই সময় প্রথমে নির্বাচিত হন ৪৯ জন। এদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির ৪ জন, স্বতন্ত্র- ১ জন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন। ওই সংসদে বিএনপির জন্য সংরক্ষিত একটি আসন প্রাপ্য হয়। কিন্তু বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদে যোগ দেওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তার কারণে নারী আসনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া থেকে বিরত থাকে। পরে রুমিন ফারহানাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।