× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চলমান রোহিঙ্গা সংকটের ৬ বছর

এই বোঝা আর কত দিন

নুপা আলম, কক্সবাজার

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩ ১০:১০ এএম

এই বোঝা আর কত দিন

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা-ধর্ষণের তোড়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ঢুকে পড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে থেকেই সেখানে ছিল তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এদের আশ্রয় দিতে সব মিলিয়ে ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপন করতে হয়েছে উখিয়া ও টেকনাফে। এসব ক্যাম্পে এখন বাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

তারপর থেকে গত ছয় বছরে ক্রমাগত বিপর্যয় ঘটেছে উখিয়া-টেকনাফের পরিবেশ-প্রতিবেশের। সামাজিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা ক্রমাগত বেড়েছে। বর্জ্য অব্যবস্থাপনা, পাহাড় কাটা ও বন উজাড়ের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গারা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনে সৃষ্টি করেছে নতুন চ্যালেঞ্জ। বেড়েছে সামাজিক অস্থিরতা, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে অপরাধ। স্থানীয় জনগোষ্ঠীসহ আশপাশের এলাকায় দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। বেড়েছে সামাজিক নিরাপত্তারঝুঁকি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ দৈনন্দিন জীবনযাপনে স্থানীয়দের ব্যয়ভার বেড়েছে অনেক।

সামাজিক নিরাপত্তা

কক্সবাজার জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ১১ ধরনের অপরাধে ৩ হাজার ২০টি মামলা হয়েছে। হত্যা মামলা হয়েছে ১৩১টি, যদিও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে দেড় শতাধিক। এর মধ্যে গত ৭ মাসে ৫২টি খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে মাত্র ৩৩টি। এ ছাড়া ক্যাম্পকেন্দ্রিক অস্ত্র উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ধর্ষণ, অপরহণ ও মুক্তিপণ আদায়, ডাকাতি, মানব পাচারসহ অন্যান্য অপরাধও রয়েছে মামলার ধরনের তালিকায়।

এসব হত্যা ও অপরাধমূলক কাজের নেপথ্যে মিয়ানমারের মিশন রয়েছে বলে দাবি করছে সরকারের একাধিক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গাদের দেওয়া তথ্যমতে, তাদের ক্যাম্পগুলোয় বর্তমানে কম-বেশি ৩৩টি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা রয়েছে। ছোট-বড় এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে। মিয়ানমার এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে, মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ২২২টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৩টি নাশকতামূলক। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আলোচনায় সংকট তৈরি করতে অনেক ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের প্রধান লক্ষ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরি ও বিভাজন বাড়ানো। এজন্য প্রত্যাবাসনপন্থি ও মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে। যেমনটি হয়েছিল ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর। ওইদিন হত্যা করা হয় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তিনি রোহিঙ্গা অধিকার ও প্রত্যাবাসনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। তাই তাকে হত্যা করা হয়েছে। মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনি এই হত্যার নেপথ্যের পরিকল্পনাকারী।

ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দেওয়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তৎপর ১১টি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নাম উঠে এসেছে। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্যতম ‘আরসা’ সক্রিয় রয়েছে উখিয়া, বালুখালী, পালংখালী ও হোয়াইক্যং ক্যাম্পে। এ গোষ্ঠীর হয়ে অস্ত্র সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করে সাতটি দল। উখিয়া ও পালংখালী ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)। এ ছাড়া হোয়াইক্যং ক্যাম্পে ‘ইসলামী মাহাজ’ ও ‘জাবু ডাকাত’ নামে দুটি সংগঠন, উখিয়া ও পালংখালীতে মাস্টার মুন্নার দল, নয়াপাড়া ক্যাম্পে চাকমা দল, নবী হোসেন, পুতিয়া, জাকির, সালমান শাহ ও খালেকের নামে ভিন্ন ভিন্ন ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে শফি ডাকাতের দল, সালেহ, আবু আলা, ছমিউদ্দিন, নিহত ডাকাত হাসিম, রবিউল, মৌলভী, মো. সেলিম, মামুনুর রশিদ, মাহমুদুল হাসান, আতাউল্লাহ, খায়রুল আলম, মো. তৈয়ব, নূর কবির, মো. ইউসুফ নামের রোহিঙ্গাদের নেতৃত্বেও রয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ক্যাম্পে মূলত মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আরসা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই বিভেদকে পুঁজি করতে আরএসও গোষ্ঠী তৎপরতা বাড়িয়েছে। আরসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সদস্যরা ওই সংগঠনে যোগ দিতে পারে, এমন শঙ্কায় আরসায় অভ্যন্তরীণ হত্যাকাণ্ড বেড়ে গেছে। 

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মুহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ক্যাম্পসমূহে তৎপর রাখা হয়েছে। আতঙ্ক থাকলেও তা দূর করার চেষ্টা চলছে।

কক্সবাজার পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল জানান, রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা একটু বেশি। কোনো কাজকর্মে সম্পৃক্ত না থাকায় সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে। এতে সামান্য বিষয় নিয়েও খুনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীও ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরির মিশনে কাজ করছে। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন অপরাধে ক্যাম্পের ঘটনায় যেসব মামলা হয়, তা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পের বাইরে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। প্রয়োজনে ক্যাম্পের ভেতরে এপিবিএনকেও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া ক্যাম্পে নারী নির্যাতন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তাহীনতা, মাদক, জঙ্গিবাদের বিস্তারের ঝুঁকিসহ নানা সামাজিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা ও সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ক্যাম্পে কিশোরী মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাল্যবিবাহের ঘটনা বাড়ছে।

পরিবেশের বিপর্যয় 

কক্সবাজার বনবিভাগের তথ্য বলছে, মিয়ানমার থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের ৮ হাজার একর বনভূমিতে আশ্রয় নিয়েছে; যা বন ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। হাতির অভয়ারণ্য ও চলাচলের পথ নষ্ট হচ্ছে। পাহাড় কাটা হচ্ছে। গাছ কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ও মলমূত্রের কারণে স্থানীয় শত শত একর আবাদি জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য, মলমূত্র, প্লাস্টিকের বোতল, অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা কৃষিজমিতে এসে পড়ছে। এসব জমিকে চাষাবাদের উপযোগী করে তোলার বা পরিষ্কার করার কোনো পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি। 

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিষাক্ত বর্জ্য ও দূষিত দ্রব্যে এলাকার ৭-৮টি খাল দূষিত হয়ে উঠছে। এতে পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। স্থানীয় বাসিন্দারা পড়েছে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত রাখার স্বার্থে রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক খালগুলো রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ও ব্যবহৃত ময়লাযুক্ত বিষাক্ত পানিতে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ, প্রতিবেশসহ কয়েকটি খাল ও নাফ নদ। এই পানির দুর্গন্ধের কারণে সংকটে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও কৃষকরা। ময়লাযুক্ত পানি ও বর্জ্যের কারণে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। জন্মাচ্ছে ডেঙ্গু মশা।

ক্যাম্পে ক্যাম্পে স্বাস্থ্যঝুঁকি

গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডাক্তার আবু তোহা মো. আর হক ভূঁইঞা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ হাজার ৩১১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। ক্যাম্পে ডেঙ্গুর কারণ হিসেবে নালা ও আবর্জনা দায়ী বলে মনে করেন তিনি।

সম্প্রতি ক্যাম্পে দেখা দিয়েছে চর্মরোগের প্রকোপ। জুলাই মাসের শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আনুমানিক ৪০ শতাংশ মানুষ বর্তমানে স্ক্যাবিসে আক্রান্ত। কিছু ক্যাম্পে এ আক্রান্তের হারের সংখ্যা ৭০ শতাংশেরও বেশি। 

বাংলাদেশে মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স গত বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতি নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। এটি থেকে দেখা যায়, ক্যাম্পের পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। এজন্যই চর্মরোগের প্রকোপ বেড়েছে।

অর্থনৈতিক সংকট

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট-সংক্রান্ত সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পুরোপুরি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনা দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ ও সার্বিক নিরাপত্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সেলিম রায়হান।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রবন্ধে সেলিম রায়হান লিখেছেন, রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতি বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। সংকটের এ মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ বিশাল শরণার্থীগোষ্ঠীর ভরণপোষণ করা। বিশ্বব্যাংকের ‘মাঝারি’ দারিদ্র্য আয়সীমা অনুযায়ী, এক ব্যক্তির পেছনে প্রতিদিন যদি ৩ দশমিক ১ মার্কিন ডলার খরচের হিসাব করা হয় এবং বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা যদি ১০ লাখ হয়, তবে বছরে তাদের পেছনে খরচ দাঁড়াচ্ছে ন্যূনতম প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এটা কোনোমতেই সহজ কোনো বিষয় নয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার জনসংখ্যা ২০ লাখ ৭৮ হাজার ৪২৭ জন। এই হিসাবে সেখানে চারজনেরও কম বাংলাদেশি নাগরিকের বিপরীতে একজন রোহিঙ্গা বাস করছেন। পাহাড় ও বনভূমির বড় একটা অংশ দখল করে আছে এসব রোহিঙ্গা। বেঁচে থাকার তাগিদে এদের অনেকেই বনের কাঠ বিক্রি থেকে শুরু করে সমুদ্রে মাছ ধরার পেশা বেছে নিয়েছে। যুক্ত হয়েছে পরিবহন খাতেও। অর্থাৎ এ দেশের অর্থনৈতিক খাতে সরাসরি ভাগ বসাচ্ছে তারা। 

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান মনে করেন, রোহিঙ্গাদের এক বছরের অন্ন-বস্ত্রের ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে বাড়তি ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা লাগবে, যা অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পথে একটি বড় বাধা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি তুলে ধরে নগদ অর্থ সহায়তার আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা