ফয়সাল খান ও ফারুক আহমাদ আরিফ
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৪ এএম
প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় পরিবেশে কুমিল্লার গাছবাড়িয়া গ্রামে বেড়ে উঠেছেন প্রবাসী কর্মজীবী শ্যামল পাল। তার শৈশব-কৈশোরের পুরো সময়ই কেটেছে মাটির ঘরে। কিন্তু প্রায় ১৫ বছর পর তিনি দেশে ফিরে দেখছেন, গ্রামীণ সেই পরিবেশেও কংক্রিটের আধিক্য। ব্যাংকার আবদুল্লাহ রনি বড় হয়েছেন বরিশালের বড় পুইয়াউটায় গ্রামের বাড়িতে কাঠ ও টিনের বাড়িতে। তার সেই গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে এখন ইট-সিমেন্টের ঘরবাড়ি।
এক কথায় গ্রাম কিংবা শহর- সবখানেই এখন যেন কংক্রিটের জয়জয়কার। শহরে এর বিস্তার গ্রামের কয়েকগুণ বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেকসই ও স্মার্ট স্থাপনা তৈরি করতেই সবাই ইট-সিমেন্টের দিকে ঝুঁকছেন। শুধু ভবন বা স্থাপনাতেই নয়, দৃঢ়তা ও স্থায়িত্ব দেওয়ার অজুহাতে এখন সব ধরনের উন্নয়নকাজেই চলছে কংক্রিটের ব্যবহার। পার্ক, উদ্যান ও খেলার মাঠগুলোও আচ্ছাদিত হচ্ছে কংক্রিটে। রাস্তার পাশের গাছগুলোকে অজগরের মতো পেঁচিয়ে ধরছে এর ঢালাই। যে কারণে বৃষ্টির পানি যেতে পারছে না মাটির ভেতর। এতে তাপমাত্রা বাড়ছে হু-হু করে। কংক্রিটের এই ভয়ংকর থাবা বিপন্ন করে তুলছে পরিবেশ-প্রতিবেশকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নির্বিচারে গাছ কেটে ব্যাপক হারে কংক্রিটের স্থাপনা তৈরির প্রক্রিয়াও দায়ী। কংক্রিটের আধিক্যে গাছের চারপাশে পানি ও মাটির পরিমাণ কমছে। খাদ্য ও পুষ্টি পাচ্ছে না গাছগুলো। আবার জলাশয়ও কমে যাচ্ছে। পানি ও গাছ পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য উপাদান। এ দুটিই আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় ভূমণ্ডলে বাড়ছে তাপমাত্রা।
চলতি বছরের ৩ জুন প্রকাশিত এক গবেষণায় পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বিআইপি জানাচ্ছে, একটি শহরে অন্তত ১৫ ভাগ সবুজ থাকা প্রয়োজন। ঢাকায় আছে মাত্র ৭ শতাংশ। ঢাকায় গত ২৮ বছরে অন্তত ৪৩ শতাংশ সবুজ এলাকা ধ্বংস হয়েছে। জলাভূমি রয়েছে মাত্র ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। একই সময়ে ঢাকা থেকে ৮৫ দশমিক ৮৫ ভাগ জলাভূমি হারিয়ে গেছে। অথচ স্থাপনা বেড়েছে ৭৫ ভাগ! যে কারণে উজাড় হয়েছে গাছ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়কগুলোতে যেসব গাছ দেখা যায়, সেগুলোর বয়স অন্তত ১০ বছরের ওপর। অর্থাৎ এরপর আর তেমন কোনো দীর্ঘ ও শিকড় বিস্তৃত করতে পারেÑ এমন গাছ রোপণ করা হয়নি অথবা করা হলেও বাঁচানো যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানী ঢাকার গুলশান, বনানী, গুলিস্তান, রমনা, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মহাখালীসহ আশপাশের অঞ্চলের গাছগুলোর বয়স তুলনামূলক বেশি। ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ শহরেও প্রায় একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। তবে এসবের মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশই কাঠের গাছ, অর্থাৎ মেহগনি, আকাশি, ইউক্যালিপটাস ইত্যাদি।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংস্থাগুলোকে বিউটিফিকেশনের জন্য দেওয়া বরাদ্দ সবুজ সংরক্ষণে ব্যয়ের পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। গত জুন মাসে বিআইপির এক অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন তিনি।
ঢাকার প্রায় ৮২ ভাগ কংক্রিটে আচ্ছাদিত
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) ২০২০ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে ঢাকায় জলাভূমি ও উন্মুক্ত জায়গার পরিমাণ কমেছে ১৩৪ বর্গকিলোমিটার। আর এ সময় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কংক্রিট। ইতোমধ্যে ঢাকার দুই সিটি এলাকার প্রায় ৮২ ভাগ কংক্রিট আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে। বনানী পার্ক, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন পার্ক, ওসমানী ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যথাক্রমে ৪২, ৩৭, ৫২ ও ৩৭ শতাংশ এলাকা কংক্রিটে আচ্ছাদিত। কংক্রিটের ব্যবহার যত বাড়ছে, জলাভূমি, সবুজ এলাকা ও কৃষিজমি ততই কমছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) তথ্যে বলা হয়েছে, একটি পরিকল্পিত শহরের ৬০ ভাগ জায়গায় সড়ক, জলাশয় ও উন্মুক্ত স্থান রাখা হয়। আর ৪০ ভাগ জায়গায় আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ নগরবাসীর প্রয়োজনের আলোকে অবকাঠামো গড়ে ওঠে। ঢাকায় সড়ক, জলাশয় ও উন্মুক্ত স্থান রয়েছে প্রায় ২৪ ভাগ। আর অবকাঠামো তৈরি হয়েছে ৭৬ ভাগ জায়গায়।
ড্যাপের তথ্যমতে, ঢাকায় সড়ক রয়েছে ৮ দশমিক ৪৫ ভাগ, জলাশয় ১৩ দশমিক ৯২ ভাগ এবং উন্মুক্ত স্থান রয়েছে ১ দশমিক ৩৫ ভাগ।
গ্রামেও স্বস্তি নেই
কুমিল্লার গাছবাড়িয়া গ্রামের শ্যামল পাল জানান, একসময় মাটির বাড়িঘরে বাস করেছেন তারা। ওই অঞ্চলের প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরই ছিল মাটির। কিছু ছিল টিন ও ছনের। কিন্তু ২০১০ সালের পর গ্রাম থেকে মাটির ঘর হারিয়ে যেতে থাকে। এখন টিনের ঘরও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ঘর মানেই বর্তমানে ইটের তৈরি পাকা দালান। মেঠোপথও তেমন একটা নেই। বাড়ির চারপাশে বা পেছনের দিকে যেসব ঝোপঝাড় ছিল, সেসবও উধাও হয়ে গেছে। সেখানে লাগানো হয়েছে আকাশি, মেহগনিসহ দ্রুত বর্ধনশীল বিভিন্ন কাঠের গাছ।
বরিশালের বড় পুইয়াউটা গ্রামের আবদুল্লাহ রনি জানান, নদীসমৃদ্ধ অঞ্চল বরিশাল। তবে সেখানেও রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। রাস্তার পাশে বেড়ে উঠছে ফলদ গাছের পরিবর্তে কাঠের গাছ। মেঠোপথেও ইট বিছানো, যাতে কাদা কিংবা উঁচু-নিচু পথ দিয়ে হাঁটতে না হয়।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলাতে ছিল অসংখ্য মাটি ও ছনের ঘর। সেগুলো এখন শুধুই স্মৃতি বলে জানালেন খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের ঘর ছিল ছন ও খড়ের। পরে ছনের বন কেটে বানানো হয় ফসলি জমি। ফলে ওই সময় বাড়িঘর বানাতে ব্যবহহার হতো খড়। ২০-৩০ বছর হলো সেগুলো ভেঙে টিনের বাড়িঘর বানানোর প্রবণতা দেখা দেয়। এরপর গত ১৫-২০ বছর এ অঞ্চলে ঋণ করে হলেও পাকা দালান বা হাফ বিল্ডিং তৈরি করছে মানুষ।
তিনি বলেন, বাড়িতে যাতায়াতের মেঠোপথও এখন আর নেই। ইটের সলিং বিছানো হয়েছে সড়কে। পাড়া-মহল্লার পথেও ইটের রাজত্ব। যেদিকে তাকানো যায়Ñ শুধু ইট-পাথর। এ কারণে গরমের সময় প্রচুর গরম পড়ে। শীতেও একই চিত্র। গ্রামের সেই কাদাপথ এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না।
শুধু শ্যামল পাল, আবদুল্লাহ রনি ও খলিল নন; বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামের চিত্র বর্তমানে এ রকমই। প্রাকৃতিক পরিবেশ-প্রতিবেশসমৃদ্ধ বাড়িঘর কমই নির্মাণ হচ্ছে সেখানে।
ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান মনে করেন, উন্নয়নকাজে অপ্রয়োজনীয় কংক্রিট ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাগাম টেনে ধরতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, জেনে-শুনে কংক্রিটের কনসেপ্ট সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ বাঁচিয়ে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উন্নয়ন করার ধারণা চর্চা হচ্ছে না। যার ফলে উন্নয়ন বলতে সবাই এখন কংক্রিটই বুঝছেন। এর দায় পেশাজীবীদেরও নিতে হবে। কেননা রাস্তাঘাট, ফুটপাথ, পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়নের কাজ তারাই করছেন।
ড. আদিল বলেন, অনেক সময় দেখা যায় প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে উন্নয়ন করলে হয়তো প্রকল্পটি ১০ লাখ টাকায়ই হয়ে যাবে। কিন্তু বিভিন্ন কংক্রিটের ফিচার যুক্ত করে সেটিকেই ৫ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে আবার অনেকের লাভও হচ্ছে। সেই লাভের আশায় আইন ও বিধি ভঙ্গ করে উন্নয়নকর্মের কংক্রিটভিত্তিক ডিজাইন করা হচ্ছে।
পানি যেতে পারছে না মাটির ভেতর
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভূগর্ভস্থ পানিবিজ্ঞান পরিদপ্তরের পরিচালক ও গবেষক ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, একটি পরিকল্পিত শহরে বিভিন্নভাবে বৃষ্টির পানি যাতে মাটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে, তার সব ব্যবস্থা রাখা হয়। পানি ধরে রাখার ক্ষেত্রে গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু গাছই তো পানি পাচ্ছে না। এভাবে ফুটপাথের সব ঢালাই করে ফেলা ভয়ানক। শহর-নগরে দালানকোঠা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু পানি প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া বিপর্যয়কর। অথচ এ সমস্যা সমাধানের অনেক পথ রয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের অঞ্চল ছিল নিচু। সেখানে বৃষ্টির পানি জমা হতো। কিন্তু মিল-ফ্যাক্টরি বানাতে গিয়ে তা ভরাট করে ফেলা হয়েছে। সেখানেও নিচের দিকে পানি যেতে পারে না। ঢাকার মধ্যাঞ্চল তথা ফার্মগেট, গ্রিন রোডে পানির স্তর ৮০ মিটার নিচে নেমে গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, শহরের গাছপালার গোড়ার চারপাশে কংক্রিট দিয়ে ঢালাই করায় পানি এর মূলে যেতে পারছে না। আবার একটি গাছ মারা গেলে সেখানে নতুন কোনো গাছও লাগানো হয় না। যারা শহর পরিচালনা করেনÑ এসব সমস্যা তাদের চোখে পড়ে না। এখানে বৃক্ষ কেটে ফুলের গাছ লাগানোর কথা বলা হয়। কিন্তু একটি ফুলের গাছ আর বড় গাছ কি পরিবেশে সমান ভূমিকা রাখে?
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, গাছের বেঁচে থাকার জন্য যেমন মাটির নিচের পানি দরকার, তেমনি অনেক সময় ওপর থেকেও পানি দিতে হয়। যদি চারপাশ ঢালাই করে দেওয়া হয়, তাহলে বৃষ্টির পানি নিচে যেতে পারে না। গাছ পানি ধরে রাখতে পারে না। এতে পরিবেশ উত্তপ্ত হচ্ছে। বৃষ্টির পানি মাটির ভেতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে গাছের ভূমিকা আছে। এজন্য গাছের চারপাশে অন্তত চার ফুট খালি রাখতে হবে। এটিই বিজ্ঞানসম্মত উপায়।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন শহর বিশেষ করে ঢাকার ফুটপাথ সম্পূর্ণ ঢালাই করা। অন্যান্য ফাঁকা জায়গাও কম। কিন্তু এর অন্তত কিছু অংশে ঘাস থাকা দরকার। যাতে পানি নিচে যেতে পারে।
কংক্রিটের ঢালাইয়ে জড়িত ব্যবসায়িক স্বার্থ
শরীফ জামিল বলেন, ঢাকা শহরে অন্যান্য শহরের তুলনায় তাপমাত্রা এমনিতেই ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। এসব শহর পরিচালকদের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব বিস্তর। জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনযাপন নিয়ে তারা হয়তো চিন্তাই করেন না। অন্যদিকে কংক্রিটের ঢালাইয়ের সঙ্গে প্রচুর ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত। এখানে যত বর্গফুট ঢালাই দেওয়া যাবে, টাকাও তত বেশি মিলবে। আবার আরেকটি শ্রেণি আছে, যারা সরকার ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে এসব কাজের আইডিয়া দেয়। এখন সরকারকে চিন্তা করতে হবে কোনটা মানুষের কল্যাণে আসবে। পরিবেশবাদীরা এসবের প্রতিবাদ করেন। তাই তারা সরকারের বিরাগভাজন হন।
দেশে রাস্তার পাশের প্রায় ৮০ শতাংশ গাছই কাঠের উল্লেখ করে শরীফ জামিল বলেন, ‘কাঠের গাছে না থাকে কোনো পাখি, না কীটপতঙ্গ। ব্যবসায়িক চিন্তা থেকে এসব কাঠের গাছ রোপণ করা হয়েছিল। যদিও এসব গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অতএব এসব বাদ দিয়ে ফলদ গাছ লাগানো দরকার। এতে পাখি, কীটপতঙ্গ থাকবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।’
পরিবেশমন্ত্রীর ভাষ্য
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন মনে করছেন, পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গত ৪ জুন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন মোট ভূমির ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির পরিমাণ ১৪ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বন সম্প্রসারণ এবং বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধে ২০০৯-১০ থেকে ২০২১-২২ আর্থিক সাল পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৩ হেক্টর ব্লক এবং ২৮ হাজার ৫৫১ সিডলিং কিমি স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ১০ কোটি ৮৬ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে।