× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দূর হচ্ছে মাছ নষ্টের শঙ্কা

সাইদুর রহমান আসাদ, সুনামগঞ্জ

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩ ১৫:৪১ পিএম

জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে শিগগিরই জমে উঠবে সুনামগঞ্জের ওয়েজখালীতে নবনির্মিত আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো

জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে শিগগিরই জমে উঠবে সুনামগঞ্জের ওয়েজখালীতে নবনির্মিত আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের উদ্যোগে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জে আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কাজ শেষ হয়েছে দু’বছর আগেই। আগামী ১ জুন এই অবতরণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এটি চালু হলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের বহুদিনের দাবি পূরণ হবে। এই আড়ত থেকে সরকার বছরে কোটি টাকার রাজস্ব পাবে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি অবিক্রীত মাছ পচে যাওয়ার দুশ্চিন্তাও দূর করবে।

সুনামগঞ্জে প্রতি বছর ১ লাখ ১৭৭ মেট্রিন টন মাছ উৎপাদন হয়। জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি বছর ৪৩ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানি করা হয়। 

জানা যায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে ওয়েজখালী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে রয়েছে উন্নতমানের মাছ প্যাকেজিংয়ের জন্য প্যাকেজিং এলাকা, আড়তঘর ভবন, জেনারেটর কক্ষ, আইস প্লান্ট, আবাসিক ভবন, অফিস ভবন, ইন্সপেকশন রুম, স্যানিটেশন ও পয়োনিষ্কাশনের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া হিমায়িত একটি গাড়িও রয়েছে, যেটি আড়তদাররা নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

শহরের আধুনিক কিচেন মার্কেটে জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম থাকলেও নিস্তব্ধ ওয়েজখালী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র শিগগিরই জমে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ওয়েজখালী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী দুদু মিয়া বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চালু হলে শহরের কিচেন মার্কেটের ক্রেতারা সুন্দরভাবে মাছ কিনতে পারবেন। সেখানে ময়লা আবর্জনা থাকবে না। আড়তদাররাও ভালো করে তাদের ব্যবসা করতে পারবেন। আড়তদার ওহি বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েজখালীতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করে দেওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। এটি চালু হলে সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা করতে পারব আমরা।

খুচরা মাছ বিক্রেতা আব্দুল্লাহ বললেন, ওয়েজখালী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চালু হলে শহরের কিচেন মার্কেটের জন্য ভালো হবে। ময়লা আবর্জনা কমে যাবে।

মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, আড়তদাররা ওয়েজখালী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গেলে আমাদের কিচেন মার্কেটের পরিবেশ ভালো হবে এবং ক্রেতাদের সুবিধা হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম বলেন, হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ মৎস্য সম্পদের ভাণ্ডার। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চালু হলে হাওরের মাছের গুণগত মান ভালো থাকবে। আড়তদাররা নিরাপদে মাছ বিক্রি করতে পারবে, আড়তদারদের জন্য বিশ্রামাগার থাকবে। বরফকল থাকবে। একটি বরফায়িত গাড়িও ওখানে থাকবে। কেউ মাছ বিক্রয় করতে না পারলে, ওই গাড়িতে করে মাছ রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন, যাতে কোনো মাছই নষ্ট হবে না।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ ফিরোজ বললেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন ২০২১ সালে সুনামগঞ্জের ওয়েজখালীতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ করে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই কেন্দ্রে রয়েছে ২৫টি আড়তঘর, ২০টি গদিঘর, ১টি আধুনিক বরফকল। প্যাকেজিং করার জন্য যথেষ্ট জায়গাও রয়েছে। মাছের ফরমালিন পরীক্ষার জন্য আছে ১টি ল্যাব। ৫ থেকে ৭টি ট্রাক লোড আনলোড করার পার্কিং ব্যবস্থাও আছে। এটি চালু হলে ঢাকাসহ বাইরের পাইকাররা আসবেন। এতে করে আড়তদারদের কাছে মাছ বেশি আসবে। মৎস্যজীবীরা ন্যায্যমূল্য পাবে।

জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকায় তিনটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জে ১টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এটি আধুনিক এবং উন্নত মানের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এতে সুষ্ঠু ও ভালো করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছ প্যাকেটজাত করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা মৎস্যজীবী ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১ জুন পাইকারি আড়তদাররা ওয়েজখালী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চলে যাবেন। তখন শহরের কিচেন মার্কেটে থাকবেন শুধু খুচরা বিক্রেতারা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা