× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সায়েন্স ল্যাব ও সিদ্দিকবাজার

দুই ভবনের নকশা গেল কই

ফয়সাল খান

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৯ পিএম

বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত কুইন টাওয়ার। ফাইল ফটো

বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত কুইন টাওয়ার। ফাইল ফটো

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবের শিরিন ম্যানশনে বিস্ফোরণের এক সপ্তাহ পরও নকশাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের হদিস পাচ্ছে না রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

অন্যদিকে সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ ঘটা ভবনেরও মূল কাগজপত্র খোঁজ পায়নি সংস্থাটি। তবে এ ভবনের মালিকেদের কাছ থেকে পাওয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে কিছু বিষয় নিশ্চিত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

গত ৫ মার্চ সায়েন্স ল্যাবের শিরিন ম্যানশনে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর থেকেই ভবনটির কাগজপত্র খোঁজ করছেন রাজউকের কর্মকর্তারা। কিন্তু গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো কাগজপত্রের হদিস পাননি তারা। ফলে ভবনটির নকশা কত তলা পর্যন্ত অনুমোদিত ছিল, আবাসিক না বাণিজ্যিক, তার কিছুই জানা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দুটি ভবনই অনেক পুরোনো। তাই নকশা পাওয়ার বিষয়টি সহজ নয়। ২০১৯ সালের আগে যত নকশা অনুমোদন হয়েছে তার ডিজিটাল কোনো ডেটাবেজ নেই। ম্যানুয়েলি খুঁজে বের করতে হয়। প্রায় দুই যুগ আগের ফাইল খুঁজে পাওয়া কঠিন।

সম্প্রতি গুলশানে আগুন লাগা ভবনের উদাহরণ দিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, গুলশানের ভবনে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সব কাগজপত্র বের করে ফেলেছি। যখন যে যা জানতে চেয়েছে, আমরা সঠিক তথ্য জানাতে পেরেছি। কিন্তু এই ভবন দুটি পুরোনো হওয়ার করণে সময় লাগছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, এই দুই ভবনের কাগজ খুঁজতে কর্মকর্তারা শুক্র ও শনিবারও অফিস করেছেন। কিন্তু ভবন দুটির নকশার খোঁজ পাননি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের আগের সব নকশাই স্টোরেজ করা। ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি দিয়ে অনুসন্ধান (সার্চ) করা শুরু হয়।

অপর এক কর্মকর্তা জানান, অনেক পুরোনো ফাইল উইপোকা খেয়ে ফেলেছে। আবার কয়েক বছর আগে আগুন লেগে কিছু ফাইল নষ্ট হয়েছিল। এই ভবন দুটির নকশা কী হয়েছে তা বলা মুশকিল। 

এদিকে রাজউকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিদ্দিকবাজারের ভবন মালিকদের কাছ থেকে নকশার দুটি অনুলিপি পেয়েছে ডিবি। সেখান থেকে রাজউকও অনুলিপি দুটি সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে একটি নকশায় ভবনটি ১০তলা, অপরটিতে ৫তলা বাণিজ্যিক ভবনের অনুমোদন রয়েছে। 

তবে ভবন মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া ৫তলার অনুমোদিত নকশাই সঠিক ধরে নিচ্ছে রাজউক। কর্মকর্তারা বলছেন, ১০তলার যে নকশার কপি মালিকদের কাছ থেকে পেয়েছেন এতে সিল স্বাক্ষর বা স্মারক নম্বর নেই। ৫তলা ভবনের নকশার যে অনুলিপি, তাতে রাজউকের অথরাইজড অফিসারের স্বাক্ষর আছে, কিন্তু তারিখ অস্পষ্ট। তবে ১৯৮৩ সাল লেখা। স্মারক নম্বর উল্লেখ আছে। সেই স্মারক নম্বরও রাজউকের নম্বরের সঙ্গে মিলে গেছে। 

জানতে চাইলে রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মেজর (অব.) ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সিদ্দিকবাজারের ভবনটির ৫তলার নকশার কপি মালিকের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। সেখানে রাজউকের সিল-স্বাক্ষরসহ নম্বর রয়েছে। নকশা নম্বর মিলিয়ে দেখেছি, ৫তলার অনুমোদনের নকশাটিই সঠিক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজউকের কাছে থাকা নকশা এখনও পাওয়া যায়নি। যেহেতু সিল-স্বাক্ষর রয়েছে, এটিই সঠিক নকশা। শিরিন ম্যানশনের নকশা পাওয়া গেছে কি না তা আমার জানা নেই। সেটা ওই অঞ্চলের কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। 

জানতে চাইলে জোন-৫-এর পরিচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, শিরিন ম্যানশনের কোনো মালিককেই আমরা পাইনি। এর কোনো কাজগপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না। ২৩-২৪ বছর আগের নথি, এখন খুঁজে পেতে একটু সময় লাগবে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

গত ৫ মার্চ শিরিন ম্যানশনে বিস্ফোরণের ঘটনার পর সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস আলাদা কমিটি গঠন করে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আঞ্চলিক কমিটি রাজউকের কাছে শিরিন ম্যানশনের অনুমোদিত নকশার কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দেয়।

নকশা বা অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র না পেয়ে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে আঞ্চলিক কমিটির সুপারিশে ভবনটি ভেঙে ফেলতে মালিককে চিঠি দেয় ডিএসসিসি। তবে সিদ্দিকবাজারের ভবন ভাঙার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসসিসি অঞ্চল ৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হায়দার আলী।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা