× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পাঁচ বছরে নারী বিনিয়োগকারী কমেছে ৩৬ শতাংশ

আনিছুর রহমান

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১২:২৬ পিএম

পাঁচ বছরে নারী বিনিয়োগকারী কমেছে ৩৬ শতাংশ

পুঁজিবাজারে ক্রমেই কমছে নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৬ জন। 

সিডিবিএলের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরে নারী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিসিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব ছিল ৭ লাখ ২১ হাজার ৬০২টি। যা চলতি বছর ৭ মার্চে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৬টিতে। অর্থাৎ এ সময়ে বিও হিসাব কমেছে ৩৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

এদিকে একই সময়ে দেশে বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিত বিও হিসাব কমেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৬টি। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশে বিও হিসাব ছিল ২৭ লাখ ১০ হাজার ৫৬৯টি। যা চলতি বছর ৭ মার্চে এসে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ২৩৩টিতে। অর্থাৎ এই সময়ে সম্মিলিত বিও কমেছে ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। হিসাব অনুযায়ী, সম্মিলিত বিনিয়োগকারীর চেয়ে নারী বিনিয়োগকারী ৫ শতাংশ বেশি কমেছে।

সিডিবিএলের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে ১৭ হাজার ৬১০টি বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ বিও হিসাব বাড়লেও পরবর্তী পাঁচ বছরে টানা কমেছে নারী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা। ২০১৯ ও ২০২০ সালে নারীদের বিও হিসাব কমেছে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ২৪৮টি বা ৭ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ২৫ হাজার ৬০০টি বা ৩ দশমিক  ৭৩ শতাংশ। কিন্তু পরের বছরগুলোতে বিনিয়োগকারী কমেছে আরও অধিক হারে। ২০২১ সালে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯টি বা ২৩ দশমিক  ১৮ শতাংশ। পরের বছর নারীদের বিও হিসাব কমেছে ৫২ হাজার ২৯১টি বা ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ।

তবে চলতি বছরের প্রথম ২ মাস ৭ দিনে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কিছুটা বেড়েছে। এ সময়ে নারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১ হাজার ৪২২টি। যেখানে মোট বিনিয়োগকারী সংখ্যা বেড়েছে ৭ হাজার ৩১৯টি। এখানেও পুরুষ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা নারীদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। 

নারী বিনিয়োগকারী কমছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাস্ট রিওজিওনাল ইক্যুইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী পরিচালক তানিয়া শারমিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখ দেখা গেলেও প্রকৃত সংখ্যা এর ১০ শতাংশ। নারীদের বিও অ্যাকাউন্টের বেশিরভাগ আত্মীয়স্বজনরা খুলেছে। কিন্তু প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার ন্যূনতম সীমা নির্ধারণ করায় অনেকে আত্মীয়স্বজনের বিও হিসাব বন্ধ করে দিয়েছেন। সত্যিকারের নারী বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে রিস্কের কারণে আসে না। এটা নিয়ে প্রচারণা 

বাড়ানোর পাশাপাশি আলাদা করে সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে নারীরা পুঁজিবাজারে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, স্বভাবগতভাবেই পুরুষের চেয়ে নারীদের ধৈর্য ও রিস্ক নেওয়ার মানসিকতা বেশি, যা পুঁজিবাজারবান্ধব। কিন্তু এরপরও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে নারীদের পুঁজিবাজারে আনা যায়নি। সরকার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি), মার্চেন্ট ব্যাংক ও সংশ্লিষ্টদের বড় উদ্যোগই পারে নারীদের বাজারে আনতে। এরই মধ্যে বিএসইসি অরেঞ্জ বন্ড ও পিংক বন্ডের মতো নতুন প্রডাক্ট আনতে কাজ করছে, যা পুঁজিবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ দেবে বলেও মনে করেন তিনি। এ ছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড নারী বিনিয়োগকারীদের জন্য উত্তম জায়গা বলেও মন্তব্য বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্টের।

২০১৬ সালের ২০ জুন পুঁজিবাজারে নারী নিয়োগকারীর সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৬৫ হাজার ২৫০ জন। সিডিবিএল ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। সেই সময় সম্মিলিত বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব ছিল ৩১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪৩টি। যার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবসংখ্যা ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৯৩টি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা