প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৩ পিএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৩ পিএম
দেশে প্রথমবারের মতো রোবটের মাধ্যমে পরানো হলো হার্টের রিং। প্রবা ফটো
দেশে প্রথমবারের মতো হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি বা রোবট দিয়ে হৃদরোগ আক্রান্ত রোগীদের হার্টের রিং পরানো শুরু হয়েছে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দুজন রোগীর ধমনীতে রোবটিক পদ্ধতিতে বিনামূল্যে রিং পরানো হয়। এর মধ্য দিয়ে হৃদরোগ চিকিৎসায় রোবটিক প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করল বাংলোদেশ।
হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এ অস্ত্রোপচার করেন। হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন ও কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) হাসপাতাল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রোবটিক পদ্ধতিতে রিং পরানো কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেওয়া ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিশ্বের ১৬০টি দেশে রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি বা রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানোর সেন্টার রয়েছে। এটি বিশ্বে হার্টের রিং পরানোর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কার্ডিওলজিস্টরা এখনও ক্যাথল্যাবে নিজেরা রোগীর কাছে গিয়ে হার্টের রিং পরান। কিন্তু রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি অর্থাৎ রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসক দূর থেকে নিখুঁতভাবে হৃদরোগীদের হার্টের ধমনীতে রিং পরাতে পারেন।’
রোবটের বর্ণনা দিয়ে ডা. প্রদীপ বলেন, ‘এই রোবটের দুটি অংশ থাকে। প্রথমটি, রোবটের একটি হাত, যা ক্যাথল্যাবে থাকে। অপরটি থাকে কন্ট্রোল সেকশন, যেখান থেকে মূল কার্ডিওলজিস্ট পুরো রিং পরানোর কার্যক্রমটি দূর থেকে সম্পন্ন করে থাকেন। রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানোর সুবিধা হলো, হার্টের রিং পরানোর জটিল প্রক্রিয়াটি রোবটের মাধ্যমে খুব সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে করা যায়। অনেক সময় হার্টের রিং নিখুঁতভাবে পজিশন করার জন্য এক মিলিমিটার সামনে অথবা এক মিলিমিটার পেছনে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। হাত দিয়ে করলে নিখুঁতভাবে কাজটি করা কঠিন হয়। কিন্তু রোবটের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে এটি সম্পন্ন করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসক সরাসরি এনজিওপ্লাস্টি করতে গেলে যে সময় লাগে, রোবটের মাধ্যমে সেটি করতে অনেক কম সময় লাগে। এতে করে অল্প সময়ে বেশি রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া যায়। হার্টের ভেতরে ক্যাথেটার, ওয়্যার (তার), বেলুন, রিং যত কম সময় রাখা যায়, রোগীর জন্য ততই নিরাপদ। তাই রোবটিক এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে রিং পরাতে সময় কম লাগে বলে জটিলতাও কম হয়।’