প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২৭ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৫ পিএম
মেক্সিকোর পার্লামেন্টে ১২ সেপ্টেম্বর হাজির করা এলিয়েনের একটি মমি। ছবি : সংগৃহীত
মেক্সিকোর পার্লামেন্টে মঙ্গলবার এলিয়েনের মমিকৃত দুটি জীবাশ্ম দেহ হাজির করেছেন জাইম মসন নামের এক সাংবাদিক ও অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও) বিশেষজ্ঞ। তার দাবি, ক্ষুদ্র মানবাকৃতির এই এলিয়েনগুলোর উৎপত্তি পৃথিবীতে নয়। এগুলো নিয়ে আরও গবেষণা হলে ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) শুনানিতে বিতর্কিত স্বঘোষিত এই ইউএফও গবেষক বলেন, এই যে দুইটা মমি হাজির করলাম এটা পেরুতে (২০১৭ সালে) পাওয়া ইউএফওর ধ্বংসাবশেষ নয়। এগুলো নতুন মমি। তাদের বয়স প্রায় ১ হাজার বছর। এগুলো এলিয়েন হোকা না হোক, মানুষ আকৃতির এ মমিগুলোর উপাদানের সঙ্গে মানুষের মিল অনেক কম। পার্থক্যই বেশি। তবে তারা বুদ্ধিমান এবং তারা ভিন গ্রহ থেকে এসে এই পৃথিবীতে আমাদের সঙ্গেই বসবাস করছেন।
মমি দুটির প্রতিটা হাতে তিনটি করে আঙুল রয়েছে। তাদের মাথা লম্বা আকৃতির। মুখের অংশ ফাঁকা। দাঁত নেই।
মেক্সিকোর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মমি দুটির ডিএনএ পরীক্ষা করেছেন। তাদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, মমি দুটির ডিএনএর প্রায় ৩০ শতাংশের উৎপত্তি অজ্ঞাত।
সাংসদদের সামনে হাজির করা মমি দুটির এক্স-রে স্ক্যানিংয়ে দেখা যায়, তাদের একটির মধ্যে ডিম রয়েছে। ডিমে ভ্রূণ রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তা ছাড়া মমি দুটির শরীরে দুর্লভ কিছু উপাদান রয়েছে। এসব উপাদানের মধ্যে অসমিয়াম অন্যতম। পৃথিবীতে এটা সচরাচর পাওয়া যায় না।
৭০ বছর বয়সি মসন বুধবার মেক্সিকোর পার্লামেন্টে ইউএফও নিয়ে একটা ভিডিও প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন। এতে তিনি মমি দুইটা ছাড়া এএফও সম্ভাবনা নিয়ে নানা কথা বলেছেন।
মসনের সর্বশেষ মমি দুটির সত্যতা এখনও প্রমাণ করা যায়নি। তবে তিনি ২০১৭ সালে যে পাঁচটি মমিকে ইউএফও বলে দাবি করে ছিলেন তা বাতিল হয়ে গেছে। পরে প্রমাণিত হয়েছে, ওই মমিগুলো আসলে শিশুদের দেহাবশেষ।
ইউএসও বা অজ্ঞাত অস্বাভাবিক ঘটনা (ইউএপি) নিয়ে আলোচনা নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ইউএপি নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন দেশটির নৌবাহিনীর সাবেক পাইলট রায়ান গ্রেভস। তখন তিনি বলেছিলেন, ইএফও ও ইউএপির অস্তিত্ব যে আছে এটা আমাদের সামরিক বাহিনীর সবাই জানে। বিষয়টি তাদের কাছে ওপেন সিক্রেট।
মসনের মঙ্গলবারের শুনানিতে গ্রেভসক্রে দেখা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইউএপি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
গত মে মাসে ১৬ জন গবেষকের একটি স্বাধীন দল ইউএফও বা ইউএপি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়। এতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য রয়েছে তাতে করে ইউএফও বা ইউএপির অস্তিত্ব স্বীকার করা বেশ কঠিন।
নাসার বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে ওই গবেষকদের কথারই প্রতিধ্বনি থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাবে এই প্রতিবেদন ইউএফও বা ইউএপি গবেষণায় নতুন যাত্রার শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাসার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্র : আলজাজিরা, আরটি, এএফপি