প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০২ পিএম
স্বর্ণের গ্রহাণুখ্যাত ‘১৬ সাইকি’। প্রবা ফটো
স্বর্ণের গ্রহাণুখ্যাত ‘১৬ সাইকি’। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই গ্রহাণুতে এত বেশি মূল্যবান পদার্থ রয়েছে, বিশেষ করে স্বর্ণÑ যা পুরো বিশ্বের সম্পদের মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। সেই গ্রহাণুকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করতে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। আগামী মাসে এটি উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে।
একটি ভারী রকেটে মূল মহাকাশযান এবং দুটি ছোট মহাকাশযান ‘১৬ সাইকি’র দিকে উড়ে যাবে। ২০২৯ সালের আগস্ট মাসে গ্রহাণুটির কাছাকাছি পৌঁছনোর কথা মহাকাশযানটির। এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি স্পেসএক্স ও যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসার মধ্যে চুক্তি হয়। অবশ্য ২০১৪ সালে নাসা মহাকাশযান পাঠানোর বিষয়ে প্রথম উদ্যোগ নেয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, ১৬ সাইকির জন্ম নক্ষত্রের ধ্বংসাবেশষ থেকে। ১৬ সাইকির পৃষ্ঠে সিলিকেট খনিজ পদার্থ এবং হাইড্রক্সিল আয়ন থাকার প্রমাণও পেয়েছে নাসা।
নাসা মনে করছে, ১৬ সাইকিতে যে লোহা এবং নিকেল রয়েছে, তার ঘনত্ব পৃথিবীতে পাওয়া লোহা এবং নিকেলের ঘনত্বের চেয়ে বেশি। রয়েছে স্বর্ণভান্ডারও। এই গ্রহাণুর মোট মূল্য বিশ্বের সব দেশের মুদ্রার চেয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার গুণ বেশি। কোনো দেশ যদি এই গ্রহাণুর দখল নিতে পারে এবং সেখানকার খনিজ পদার্থ ব্যবহার করতে পারে, তাহলে সেই দেশ বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৬ সাইকির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোয়াড্রিলিয়ন ডলার, যেখানে বিশ্বের মোট অর্থনীতি ৭৪ ট্রিলিয়ন ডলারের মাত্র।
ইতালির জ্যোতির্বিদ অ্যানিবেলে ডি গ্যাসপারিস ১৮৫২ সালের ১৭ মার্চ মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে থাকা ১৬ সাইকি গ্রহাণুটি আবিষ্কার করেন। গ্রিক দেবী ‘সাইকি’র নামে গ্রহাণুটির নামকরণ করা হয়। ২২০ কিলোমিটার গড় ব্যাসের এই গ্রহাণু মহাবিশ্বে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্যতম বৃহৎ।