প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩ ১০:০০ এএম
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৩ ১১:২১ এএম
দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই দাবি করে আসছেন, ভিনগ্রহী প্রাণীদের অস্তিত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল যুক্তরাষ্ট্র
আমরা একা নই (মহাবিশ্বে) এবং আমেরিকান কর্তৃপক্ষ (এলিয়েনদের অস্তিত্বের) প্রমাণ ঢেকে রেখেছে
বলে বুধবার (২৬ জুলাই) কংগ্রেসনাল কমিটিকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গোয়েন্দা
কর্মকর্তা ডেভিড গ্রুশ।
গ্রুশ সঙ্গে এও দাবি করেছেন, কয়েক দশক ধরে ক্র্যাশ সাইট থেকে আনআইডেন্টিফায়েড অ্যারিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি) পুনরুদ্ধার এবং এর রিভার্স-ইঞ্জিনিয়ারিং (পুনরায় তৈরি করা)
প্রোগ্রাম সম্পর্কে তাকে জানানো হয়েছিল। যারা এ প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানিয়েছেন, তারা
এখনও সেখানে কাজ করছেন।
কংগ্রেসনাল কমিটির পক্ষ থেকে গ্রুশের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার কাছে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ রয়েছে কি না। গ্রুশ প্রমাণের বিষয়ে না বললেও তিনি জানিয়েছেন, এখনও এর সঙ্গে যুক্তদের নামের তালিকা তিনি কংগ্রেসনাল কমিটিকে দিয়ে যাবেন।
শুনানির সময় তাকে বারবার বিস্তারিত বিবরণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল
তবে তিনি বলেন, জনসম্মুখে শ্রেণিবদ্ধ তথ্যের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে পারবেন না। যদিও
সংগৃহীত তথ্যগুলো তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছিলেন বলে জানান।
তিনি কংগ্রেসনাল কমিটিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হাতে এলিয়েনের
দেহের বায়োলজিক্যাল উপাদানও রয়েছে।
এর আগে নিউজ নেশনে সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার
যে ইউএপি নিয়ে শুধু জনগণের কাছেই তথ্য গোপন করছে এমন নয়, কংগ্রেসের কাছেও তারা গোপন
করেছে। দেশটির সিনেটর টিম বার্চেটও তার এ বক্তব্য সমর্থন করে বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমের
সঙ্গে কথা বলেছেন।
সে সময় গ্রুশ যা দাবি করেছিলেন, তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মানুষের
তৈরি নয় এমন যান রয়েছে। এ ছাড়া ইউএপির প্রকল্প গোপন রাখতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
এলিয়েনের হাতে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
যানগুলো বিধ্বস্ত হওয়া যে সাইটগুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তার উপকরণগুলো বহিরাগত উৎসের। সেখানে অন্যান্য পারমাণবিক ব্যবস্থা ও রেডিওলজিক্যাল স্বাক্ষরও রয়েছে, যেগুলো পৃথিবীর কোনো প্রযুক্তির সঙ্গে মিল নেই। তিনি দাবি করেছেন, প্রতিযোগী শক্তিগুলো থেকে এগিয়ে থাকতে এ প্রযুক্তিগুলো রি-ইঞ্জিনিয়ারিংও করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবারের কংগ্রেসনাল শুনানিতে নৌবাহিনীর দুজন সাবেক পাইলটও যোগ দিয়েছিলেন।
যারা অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার সময় ইউএপির মুখোমুখি হয়েছিলেন।
তবে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বরাবরই দাবি করা হয়েছে, কোনো ধরনের এলিয়েনশিপ
বা ইউএপি তাদের কাছে নেই এবং এ-সংক্রান্ত রিভার্স-ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো প্রকল্পও চলমান
নেই।
ডেভিড গ্রুশ ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত ইউএস আনআইডেন্টিফায়েড অ্যারিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি) টাস্কফোর্সে ন্যাশনাল রিকনেসান্স অফিসের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর ২০২২ সালের ২২ জুলাই পর্যন্ত তিনি ইউএপি বিশ্লেষণ বিষয়ক নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে কাজ করেছেন ন্যাশনাল জিওস্পেশাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে।
সূত্র : নিউজ নেশন্স, এনডিটিভি