প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:২৭ পিএম
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৫৬ পিএম
ডিমোরফস নামের গ্রহাণুতে গত সোমবার আঘাত হানে নাসার মহাকাশযান ডার্ট। ছবি : সংগৃহীত
পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০ লাখ
মাইল দূরে থাকা ডিমরফস গ্রহাণুতে মহাকাশযান দিয়ে আঘাত হানার ছবি প্রকাশ করেছে নাসা।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থাটি এই ছবিগুলো জেমস ওয়েব এবং হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে
তুলেছিল। বৃহস্পতিবার নাসার ওয়েবসাইটে এসব অ্যানিমেশন ও ছবি প্রকাশ করা হয়।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার
(২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে নাসার তৈরি ডার্ট মহাকাশযান ডিমোরফস গ্রহাণুতে বিধ্বস্ত
হয়। গ্রহাণু আঘাত হানার ঝুঁকি থেকে পৃথিবীকে রক্ষার সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য এ অভিযান
চালানো হয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ পরীক্ষার মাধ্যমে সম্ভাব্য আঘাতকারী গ্রহাণুগুলোর
গতিপথ বদলে দেওয়ার সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নাসাপ্রধান বিল নেলসন বলেন, ‘প্রথমবারের জন্য ওয়েব এবং হাবল মহাকাশে একই সময় একই লক্ষ্যবস্তুর
ছবি তুলেছে। পুরো মানবজাতি অধীর আগ্রহে ডার্ট মিশন নিয়ে ওয়েব, হাবল ও ভূমিতে থাকা
টেলিস্কোপে ধারণ করা আবিষ্কারের জন্য অপেক্ষা করছে।’
ডিমোরফস গ্রহাণুটি এ মুহূর্তে
ডিডিমস নামের আরও একটি বড় গ্রহাণুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এই দুটি গ্রহাণু এখন বা অদূর
ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয়। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া
থেকে ডার্টকে মহাকাশে পাঠায় নাসা। এর আকার একটি ছিল ভেন্ডিং মেশিনের সমান।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোনো
গ্রহাণুর গতির ওপর ছোট্ট প্রভাবও পৃথিবীকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। সম্ভাব্য সংঘর্ষের ৫
থেকে ১০ বছর আগেই গ্রহাণুটির গতি ধীর করে দিলে পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা কমে যাবে। ডার্টের
আঘাত ডিমোরফসকে তার নিয়মিত কক্ষপথ থেকে সরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল কি না সেটি জানার জন্য
দুই মাস সময় লাগতে পারে।
সূর্যের চারপাশে হাজার হাজার সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণু রয়েছে; যেগুলো পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি আসে বা অতিক্রম করে। বর্তমানে কোনোটিই পৃথিবীতে আঘাত হানার পথে নেই বলে জানিয়েছে নাসা।
প্রবা/এমআর/ এমআই