প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩ ১৮:১৩ পিএম
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩ ১৮:৩৫ পিএম
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একজন মহাকাশচারীর পানীয়, খাবার তৈরি ও স্বাস্থ্যবিধির কাজে প্রতিদিন এক গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়। ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা ক্রুদের মূত্র ও ঘাম থেকে ৯৮ শতাংশ
পানি পুনরুদ্ধারের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার
জনসন স্পেস সেন্টারের গবেষকরা। এর আগের পদ্ধতিতে ৯৪ শতাংশ পানি পুনঃব্যবহার করা যেত।
৪ শতাংশ পানির পুনরুদ্ধার বৃদ্ধিকে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে।
নতুন এই পদ্ধতিকে নাসা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এনভায়রনমেন্ট কন্ট্রোল
অ্যান্ড লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম (ইসিএলএসএস) বা ব্রাইন প্রসেস সিস্টেম (বিপিএস) হিসেবে।
যেখানে মহাকাশে পানি প্রক্রিয়াকরণের দুটি অংশ থাকবে। ওয়াটার প্রসেসর অ্যাসেম্বলি
(ডব্লিউপিএ) নামের সাব সিস্টেমে মহাকাশচারীর ঘাম, শ্বাসপ্রশ্বাস ও মহাকাশ স্টেশনের
আর্দ্রতা থেকে পানি পুনরুদ্ধার করবে এবং ইউরিন প্রসেসর অ্যাসেম্বলিতে (ইউপিএ) মূত্র থেকে
পানি পুনরুদ্ধার করা হবে।
জনসন স্পেসের গবেষক ক্রিস্টোফার ব্রাউন জানিয়েছেন, বিপিএস সিস্টেম
মোট পানির ৯৮ শতাংশই পুনরুদ্ধার করতে পারবে। এর অর্থ আপনি যদি মহাকাশে ১০০ গ্যালন পানি
নিয়ে যান, মহাকাশচারীদের ব্যবহারের পর সেই পানিরই ৯৮ গ্যালন পুনরায় ব্যবহার করার জন্য
সংগ্রহ করা যাবে, আগের পদ্ধতিতে তা হতো ৯৪ গ্যালন।
আর অন্যের মূত্র বা ঘাম থেকে তৈরি পানি পানের কথা শুনলে যে কারও খটকা
লাগতে পারে। এতে চিন্তার কিছু নেই। জনসন স্পেস সেন্টারের ইসিএলএসএসের পরিচালক জিল উইলিয়ামসন
বলেছেন, ‘এই প্রক্রিয়া
মৌলিকভাবে পৃথিবীর পানি বণ্টন ব্যবস্থার অনুরূপ। আপনি মহাকাশচারীর মূত্র নয়, পানিই
পান করছেন। আর এটি এমন উপায়ে পুনরুদ্ধার ও পরিষ্কার করা হয়েছে, তা পৃথিবীর যেকোনো সুপেয়
পানির থেকেও নিরাপদ।’
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একজন মহাকাশচারীর পানীয়, খাবার তৈরি ও
স্বাস্থ্যবিধির কাজে প্রতিদিন এক গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়। আর মহাকাশে পানিসহ যেকোনো
রসদ নেওয়াই অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
প্রত্যেকটি কার্গো মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে এজন্য ব্যাপক অর্থ ব্যয় করতে হয়। তাই গবেষণা সংস্থাটি বরাবরই মহাকাশেই পুনরুৎপাদনের (রিসাইকেলিং) বিষয়টি জোর দিয়ে আসছে। সে কারণে জনসন স্পেস সেন্টারের তৈরি পানি পুনরুৎপাদন পদ্ধতি মহাকাশে মানুষের অভিযানে বড় প্রভাব রাখতে যাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র : এনডিটিভি